টিম মিটিংয়ে জলপাই গাছ আর অনুশীলনে কুকুর নিয়ে যাওয়ার রহস্য জানালেন আরতেতা
প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ করতে আর্সেনালের আর দুটি ম্যাচ বাকি। মৌসুমের অনেকটা সময় শিরোপা ‘জিতি জিতি’ করে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়তো জেতা হচ্ছে না মিকেল আরতেতার দলের। কেন এমনটা হলো, শেষে এসে কীভাবে খেই হারাল তাঁর দল—এ রহস্য হয়তো পরে উদ্ঘাটন করা হবে।
যে আর্সেনাল এ মৌসুমের আগে অনেক বছর ৪ বা ৫ নম্বর হয়ে ছিল, সেই দলকে কীভাবে বদলে দিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছেন আরতেতা, সেই রহস্য কিছুটা হলেও জানা গেছে এত দিন পর। জানা গেছে, আর্সেনালের দলীয় সভায় কেন আরতেতা জলপাই গাছের বনসাই নিয়ে আসতেন আর কেনই–বা তিনি অনুশীলনে নিয়ে আসতেন উইন নামের একটি কুকুর।
এসবই আরতেতা করেছেন আর্সেনালের খেলোয়াড়দের ক্লাবের ঐতিহ্য বোঝাতে আর অনুপ্রাণিত করতে। দলের সভায় জলপাই গাছ নিয়ে আসার রহস্য জানিয়ে আরতেতা বলেছেন, ‘ক্লাবের অনেক প্রতীকের একটি হচ্ছে আমাদের এই গাছ। গাছটির নিশ্চয়ই অনেক যত্ন প্রয়োজন। এটার বয়স ১৫০–এর বেশি, ক্লাবের মতোই। এ গাছের প্রতিটি শিকড়ের দেখভাল করতে হয়েছে আমাদের। নিশ্চিত করতে হয়েছে, এটাকে যেন বিষে না ধরে, যেন ক্ষতি না হয়। আর দেখতে হয়েছে, এটা যেন ঠিক অবস্থায় থাকে।’
এ তো গেল জলপাই গাছের রহস্য। আর অনুশীলনে কুকুর নিয়ে আসা? এ বিষয়ে আরতেতা বলেছেন, ‘আমি নিজেদের একটি পরিবার হিসেবে দেখি। আর এই পরিবারকে উপস্থাপন করার জন্য একটি কুকুর প্রয়োজন আমাদের। আমি খুব সতর্কতার সঙ্গে কুকুরটি বাছাই করেছি। আমি মনে করি, আমাদের যে কুকুরটি আছে, সেটা একদম ঠিক প্রতিনিধি। তার নাম উইন। আমরা জিততে ভালোবাসি এবং জিততে হলে দরকার ভালোবাসা। উইনেরও ভালোবাসা প্রয়োজন। মূলত এটাই ছিল ভাবনা।’
খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে আরতেতার এ দুটি উদ্যোগ যে খুব কাজে লেগেছে, সেটাই জানালেন আর্সেনালের স্প্যানিশ কোচ, ‘খেলোয়াড় আর স্টাফদের দিক থেকে প্রতিক্রিয়াটা দারুণ ছিল। সে (কুকুরটি) আমাদেরই একজন। আমাদের সঙ্গে এই যাত্রায় সেও আছে। তাকে দেখাশোনা করতে হবে আমাদের। তার আবেগকে মূল্য দিতে হবে।’