গোল করতে না পেরে দায়টা নিজের কাঁধে নিচ্ছেন এমবাপ্পে

হতাশ এমবাপ্পেএএফপি

দল জিতলে কৃতিত্ব পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। হারলে দায়টাও নিতে হয়। গতকাল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। এই হারে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। এমন হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন এমবাপ্পে। ফরাসি এই তারকা বলেছেন, তিনি দলের জন্য যথেষ্ট কিছু করতে পারেননি।

প্রথম লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে হারের পরও ফাইনালে ওঠার আশা করেছিল লুইস এনরিকের দল। তবে গতকাল ঘরের মাঠে সেই গোল শোধ করা তো হলোই না, উল্টো আরও একটা গোল হজম করে পিএসজি। পিএসজি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল বেশ কয়েকবার। তবে সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেননি। সহজ সুযোগ মিস করেছেন এমবাপ্পেও।

আরও পড়ুন

সে কারণেই হয়তো ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যথেষ্ট করতে পারিনি। যখন প্রতিপক্ষ বক্সের ভেতরে কার্যকরী কিছু করার কথা উঠবে, আমার কথাই আসবে, আমিই সে লোক যার গোল করা উচিত, ম্যাচে পার্থক্য গড়া উচিত। যখন সবকিছু ভালো থাকে, সব আলো আমার ওপরই থাকে, যখন দিন খারাপ যায় দায়টাও আপনার আপনাকে নিতে হবে। এটা কোনো সমস্যা নয়।’

সহজ সুযোগ মিস করেছেন এমবাপ্পে
এএফপি

পিএসজির শট গতকাল পোস্টেই লেগেছে চারবার। এনরিকের দল গতকাল বল দখলে রেখেছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। তবে এরপরও জয়টা সেই ডর্টমুন্ডের। এমবাপ্পে এখানে ভাগ্যের কোনো দোষ দেখেন না।

আরও পড়ুন

এই স্ট্রাইকারের মতে, জয়ের জন্য যথেষ্ট কিছু করতে পারেনি পিএসজি, ‘জানি না, তারা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল কি না। তাদের হেয় করার দরকার নেই। আমার মতে, বক্সে তারা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। তারা এক-দুবার বক্সে এসেছে, গোল করেছে। আমরা ওদের পাশে অনেকবারই গিয়েছি, তবে গোল করতে পারিনি। এটাই সত্য। দুর্ভাগা নাকি, সে বিষয়ে কথা বলতে আমি পছন্দ করি না। সবকিছু ভালো থাকলে পোস্টে লাগে না, গোল হয়ে যায়। আমরা আজ যথেষ্ট ছিলাম না, বিশেষ করে আক্রমণভাগে খেলা ফুটবলাররা।’

এমবাপ্পে যোগ করে বলেছেন, ‘আজ (গতকাল) রাতে প্রথম যার গোল করা উচিত ছিল, সেটি আমি। এটাই জীবন, আমাকে ও দলকে সবকিছু ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।’

এমন হারে পিএসজি কোচ লুইন এনরিকে ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না দুই লেগের কোনোটিতেই ম্যাচেই আমরা ওদের চেয়ে বাজে ছিলাম। তবে ফলটাই সব। তাদের অভিনন্দন জানাই, ফাইনালের জন্য শুভকামনা। আমাদের কথা যদি বলি, এত বড় ধাক্কা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে।’

ম্যাটস হুমেলসের গোলেই জিতেছে ডর্টমুন্ড
এএফপি

দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে জিতে ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ডর্টমুন্ড। সর্বশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে ফাইনাল খেলেছিল তারা। সেবার ফাইনালে ডর্টমুন্ড ২-১ গোলে হেরেছিল স্বদেশি ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। এবারও ফাইনালে বায়ার্নের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে ডর্টমুন্ডের।