শামসুন্নাহারের অপেক্ষায় থাকবে বাংলাদেশ
সবুজ রঙের বিপ পরে ম্যাচের বিরতিতে যখন অনুশীলন করছিলেন, শামসুন্নাহারের চেহারায় ভর করেছিল রাজ্যের বিষণ্নতা। ঘরের মাঠে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের অধিনায়কত্ব করার কথা ছিল তাঁর।
গত ফেব্রুয়ারিতেই অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে। টুর্নামেন্টে একটি হ্যাটট্রিকসহ করেন সর্বোচ্চ ৫ গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি জেতেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এক টুর্নামেন্টেই গড়েন এত কীর্তি!
অথচ লিগামেন্টে চোটের কারণে আজ কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে একাদশেই ছিলেন না শামসুন্নাহার। তাঁর বদলে আজ অধিনায়কত্ব করেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা।
ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে জয় পেয়েছে ঠিকই কিন্তু শামসুন্নাহারের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। প্রথম গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ গোলাম রব্বানীও মানলেন সে কথাই, ‘ওর অভাব পুরোপুরি অনুভব করেছি। শামসুন্নাহার যদি ওর পজিশনে খেলত তাহলে আরও গোল বাড়তে পারত আমাদের। ওর জায়গায় আইরিন (আইরিন খাতুন) এসেছে। কিন্তু দলে মানিয়ে নিতে সময় নিয়েছে।’
১২ মার্চ ইরানের বিপক্ষে গ্রুপে শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শামসুন্নাহারের জন্য অপেক্ষা করবেন কোচ, ‘তাকে নিয়ে ফিজিও সার্বক্ষণিক কাজ করছে। যদিও ৬০-৬৫ ভাগ সেরে উঠেছে সে। যেহেতু ৪৮ ঘণ্টা সময় আছে আমাদের হাতে, সে যদি উন্নতি করে তাহলে খুব ভালো হবে। আমরা ওর জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’ প্রথম ম্যাচে শামসুন্নাহারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি কোচ গোলাম রাব্বানী। সেটাই বুঝিয়ে বলছেন, ‘আসলে লিগামেন্টের চোট তো, এ জন্য কোনো ঝুঁকি নিইনি। কারণ, শামসুন্নাহার আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।’
যখন বাংলাদেশের মেয়েরা গোল পাচ্ছিল না, তখন কোচের পরামর্শ কি ছিল? গোলাম রব্বানী ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘মেয়েরা যখন গোল পাচ্ছিল না, তখন ওদের বলি, সুযোগ আসবে, সেটা কাজে লাগাতে হবে। মেয়েরা চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে।’ ইরানের বিপক্ষে আরও ভালো খেলার প্রত্যাশায় আছেন কোচ, ‘আজ গোল পেতে যে সময় নিয়েছে সেটা যথেষ্ট না। ইরানকে হারাতে হলে আরও ভালো ফুটবল খেলতে হবে আমাদের।’