রামোসের ট্যাকলে ক্ষিপ্ত মেসি
বার্সেলোনা ছেড়ে লিওনেল মেসি পিএসজিতে নাম লিখিয়েছেন ২০২১ সালের আগস্টের শুরুর দিকে। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে প্যারিসের ক্লাবটিতে নাম লেখান সের্হিও রামোস। মেসি পিএসজিতে নাম লেখানোর পর তাই অনেককেই একটি কথা বলতে শোনা গেছে—রামোসের সঙ্গে কঠিন দ্বৈরথের অতীত কি পাশে সরিয়ে রাখতে পারবেন মেসি!
রামোস ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম আইকন খেলোয়াড়। মেসিও বার্সেলোনার জন্য সেটাই ছিলেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ম্যাচ সব সময়ই উত্তাপ ছড়ায় ফুটবল–বিশ্বে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলে খেলতেন বলে রামোস আর মেসির মধ্যেও ছিল কঠিন দ্বৈরথ। মেসিকে আটকে রাখতে কড়া সব ট্যাকল করতেন রামোস। এ নিয়ে মাঠে অনেক উত্তেজনাকর মুহূর্তও তৈরি হয়েছে অতীতে।
মেসি পিএসজিতে নাম লেখানোর পর দুজনের অতীত সেই দ্বৈরথ ভুলে সম্পর্কের বরফ গলাতে রামোসই প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিএসজির জার্সি বিক্রয়কেন্দ্রে টাঙানো দুজনের পাশাপাশি জার্সির একটি ছবির সঙ্গে মেসির একটি ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘এমনটা হবে, কে তা ভাবতে পেরেছিল!’
গত মৌসুমে চোটের কারণে মেসি-রামোসের একজনও খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি, তবে আসন্ন মৌসুমের আগে দুজনই চোট কাটিয়ে আছেন ঝরঝরে অবস্থায়। অনুশীলন মাঠে বা মাঠের বাইরে মেসি ও রামোসকে দেখে মনে হচ্ছে, দুজনের সম্পর্ক বেশ জমে উঠেছে।
কিন্তু কাল পিএসজির অনুশীলনে হঠাৎই মেসিকে দেখা গেল রামোসের ওপর খেপে যেতে। কারণটা আর কিছু নয়, রামোসের সেই ট্রেডমার্ক হার্ড ট্যাকল! অনুশীলনে দুই দলে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলছিলেন পিএসজির খেলোয়াড়েরা। সেখানেই মেসির বিপক্ষ দলে থাকা রামোস আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে আটকাতে একটু কঠিন ট্যাকল করেছিলেন।
রামোসের ট্যাকল কোনোভাবে এড়িয়ে যেতে পারলেও এ ঘটনায় একটু বিরক্ত হয়েছেন মেসি। সেই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রামোসকে কিছু বলতে দেখা যায় তাঁকে। রামোস অবশ্য ট্যাকলটি করার পরপরই মেসির দিকে এগিয়ে কিছু বলছিলেন। হয়তো ‘দুঃখিত’ শব্দটিই উচ্চারণ করেছেন, কিন্তু মেসি বিরক্ত হয়ে অন্যদিকে চলে যান।