দুই দেশে মানুষ ২৮০ কোটি, ৬ ম্যাচে গোল শূন্য
কাতারে চলছে এশিয়ান কাপের আসর। ফুটবলে এশিয়ার শীর্ষ ২৪ দেশ লড়ছে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য। গ্রুপ পর্ব শেষে এখন নকআউট পর্বের অপেক্ষা। চূড়ান্ত হয়ে গেছে ৯ দল। বাকি ৭ দল নির্ধারিত হবে নানা সমীকরণ মিলিয়ে।
তবে এই লড়াইয়ে নেই এশিয়ার বৃহৎ দুই প্রতিবেশী দেশ—চীন ও ভারত। শুধু তা–ই নয়, এশিয়ান কাপ থেকে একেবারেই শূন্য হাতে বিদায় নিয়েছে এই দুই দেশ। টুর্নামেন্টে একটি গোলও করতে পারেনি তারা।
ফুটবল–সামর্থ্যের সঙ্গে জনসংখ্যার সরাসরি যোগসূত্র না থাকলেও চীন–ভারতের এমন ব্যর্থতায় এশিয়ান কাপে ভিন্ন এক প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। চীন–ভারতের সম্মিলিত জনসংখ্যা ২৮০ কোটির বেশি।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষের বাস যে দুই দেশে, তাদেরই মহাদেশীয় ফুটবলে কোনো গোল নেই। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করছেন অনেকেই।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চীনের অবস্থান ৭৯। ভারতের ১০৩। এবারের এশিয়ান কাপে গ্রুপ ‘এ’তে কাতার, তাজিকিস্তান ও লেবাননের সঙ্গে খেলেছে এখনো পর্যন্ত একবারই বিশ্বকাপ খেলা (২০০২) দেশটি। তিন ম্যাচের মধ্যে তারা হেরেছে কাতারের কাছে (১–০ গোলে)। বাকি দুই ম্যাচে অর্জন তাজিকিস্তান ও লেবাননের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র।
ভারতের অবস্থা চীনের চেয়েও খারাপ।
আন্ডারডগ হিসেবেই এশিয়ান কাপ খেলতে গিয়েছিল তারা। হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান আর সিরিয়া—তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ২–০ গোলে হারের ম্যাচটিতে লড়াইটা মন্দ করেনি তারা। লড়েছে সিরিয়ার বিপক্ষে ১–০ গোলে হারের ম্যাচেও। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩ গোল হজম করে ফেলার পর অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধটা ‘গোলহীন’ থাকাকেই অর্জন ভাবতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই দেশটি।
২০০২ সালে বিশ্বকাপ খেললেও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় ফুটবলে চীনের অর্জন নেই বললেই চলে। এখনো পর্যন্ত ১৪ বার এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলে চীনের সেরা সাফল্য দুবার রানার্সআপ হওয়া। দুবার করে তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়ার পাশাপাশি দুবার শেষ আটেও খেলেছে তারা।
ভারত ১৯৬৪ সালে প্রথম এশিয়ান কাপে দ্বিতীয় হওয়া এবার নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে পাঁচবার। ১৯৬৪ সালের পর তারা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলে ১৯৮৪ সালে।
এরপর বড় বিরতি দিয়ে ২০১১ সালে তৃতীয়বার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে (এএফসি সে সময় এশিয়ার দ্বিতীয় সারির দলগুলোকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ কাপ আয়োজন করত। সে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পেত)। এবার খেলেছে টানা দ্বিতীয়বার। এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের দলসংখ্যা ২৪ করে দেওয়ার পর ভারত আবার নিয়মিত হয়েছে এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায়।