কালিদু কুলিবালি নেই। জুলাইয়ে নাপোলি ছেড়েছেন। ফ্রি দলবদলে দ্রিস মের্টেনস, লরেঞ্জো ইনসাইন ও ডেভিড ওসপিনাকেও হারিয়েছে নাপোলি। চোটের কারণে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমেনও কাল রাতের ম্যাচটি খেলতে পারেননি। তবু কী দুর্দান্ত খেলল ইতালিয়ান ক্লাবটি!
আয়াক্সকে তাঁদেরই মাঠে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে নাপোলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাই প্রশংসা চলছে নাপোলি কোচ লুসিয়ানো স্প্যালেত্তির। কেউ কেউ বলছেন, এই মৌসুমে সবাইকে চমকে দিতে পারে স্প্যালেত্তির দল। ৩ ম্যাচের সব কটি জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে নাপোলি।
তিনটি জয়ের ব্যবধানগুলো একবার দেখুন, লিভারপুলের বিপক্ষে ৪-১, রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩-০ আর কাল রাতে ডাচ ক্লাবটির মাঠে ৬-১। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে ইতালির প্রথম ক্লাব হিসেবে ১০–এর গোল করার রেকর্ড গড়েছে নাপোলি।
চাইলে আরেকটু যোগ করা যায়, ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে মোট ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ক্লাবটিও নাপোলি। কোনো হার নেই। এমন ফর্মে থাকা স্প্যালেত্তির দল আয়াক্সের বিপক্ষেও ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে। ক্লাবটির ৯৬ বছরের ইতিহাসে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এটাই সবচেয়ে বড় জয়।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এর আগে ইউরোপা লিগে ২০১৫ সালে ডেনিশ ক্লাব এফসি মিডটিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছে নাপোলি। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে এর আগে ২০১৯ সালে বেলজিয়ান ক্লাব গেঙ্কের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছে নেপলসের দলটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতের আগে এটাই ছিল নাপোলির সবচেয়ে বড় জয়।
চারবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন আয়াক্সের জন্যও এই হার ঐতিহাসিক। ক্লাবটির ১২২ বছরের ইতিহাসে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এটাই সবচেয়ে বড় হার। এর আগে ১৯৮০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের পূর্ববর্তী সংস্করণ ইউরোপিয়ান কাপে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৫-১ গোলে হেরেছিল ডাচ ক্লাবটি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এত দিন এটাই ছিল আয়াক্সের সবচেয়ে বড় হার।
কাল রাতে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথম দল হিসেবে আয়াক্সের জালে ৬ গোল করে ডাচ ক্লাবটির সেই রেকর্ড নতুন করে লেখাল নাপোলি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৯৬৪ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় হার আয়াক্সের। ৫৮ বছর আগে ডাচ লিগে ফেইনুর্দের কাছে ৯-৪ ব্যবধানে হেরেছিল আয়াক্স।
নাপোলির আরেকটি বড় অর্জনও আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে এই প্রথম কোনো ইতালিয়ান ক্লাব ‘অ্যাওয়ে’ ম্যাচে ৬ গোল করল।