ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য শিরোপা লড়াইটা এখন অনেক দূরের পথ। এই মুহূর্তে সেরা চারে থাকাটাই হতে পারে তাদের সেরা অর্জন। টানা ৩ লিগ ম্যাচে জয়বঞ্চিত থাকায় কঠিন হয়ে যাচ্ছিল সেই পথটিও। শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়ে ফের শীর্ষ চারে ফিরেছে ‘রেড ডেভিল’রা। চারে ফেরা ইউনাইটেডের পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৫৩। তিনে থাকা নিউক্যাসলের পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে তারা।
ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের জয়ের ব্যবধানটা ১-০ হলেও, সেটি ম্যাচের পুরো চিত্র দেখাতে পারছে না। বেশিরভাগ সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইউনাইটেডের দখলে। যদিও শেষ পর্যন্ত একটির বেশি গোল পায়নি তারা। ইউনাইটেডের জয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন মার্কাস রাশফোর্ড।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য এটি ছিল প্রতিশোধের ম্যাচ। গত আগস্টে প্রথম লেগে ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিলে তারা। সেই হারের যন্ত্রণা ভুলতে মাঠে নেমে শুরু থেকেই ব্রেন্টফোর্ডকে চাপে রাখে স্বাগতিকেরা।
ইউনাইটেডের চাপে নিজেদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিল অতিথিরা। ব্রেন্টফোর্ড রক্ষণের আশেপাশে বল রেখে বারবার হুমকি তৈরি করছিল ইউনাইটেড। বিশেষ করে ডান প্রান্তে ব্রাজিলিয়ান তারকা আন্থনি ছিলেন দারুণ ছন্দে। একাধিকবার তাঁর ট্রেডমার্ক বাঁকানো শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।
ইউনাইটেডের আক্রমণের চাপে অবশেষে ২৭ মিনিটে ভেঙে পড়ে ব্রেন্টফোর্ড রক্ষণ। এরিক টেন হাগের দলকে এগিয়ে দেন রাশফোর্ড। কর্নার থেকে গড়ে উঠা আক্রমণে সুবিধাজনক জায়গায় দাঁড়িয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রাশফোর্ড। গোল খেয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারছিল না ব্রেন্টফোর্ড।
প্রথম ৩০ মিনিটে তারা ইউনাইটেডের বিপক্ষে কোনো শটই নিতে পারেনি। ৩৬ মিনিটে ফের সুযোগ এসেছিল ইউনাইটেডের সামনে। কিন্তু এবার আর গোল পায়নি তারা। বিরতির একটু আগে ব্রেন্টফোর্ডকে ফের কাঁপিয়ে দেন রাশফোর্ড। তবে অতিথি গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত এ যাত্রায় গোলহীন থাকতে হয় ইউনাইটেডকে।
ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে দাপুটে খেলা দলটির বলের দখল ছিল ৭২ শতাংশ। অন্য দিকে ২৭ শতাংশ বলের দখল রাখা ব্রেন্টফোর্ড প্রথমার্ধে সব মিলিয়ে শটই নিতে পারে একটি। কিন্তু সেটিও ছিল লক্ষ্যের বাইরে।
বিরতির পরও দাপট ছিল ইউনাইডেরই। একের পর আক্রমণে গিয়ে ব্রেন্টফোর্ডের রক্ষণ কাঁপায় টেন হাগের শিষ্যরা। তবে ৬৪ শতাংশ বলের দখল রেখেও একটির বেশি গোল আদায় করতে পারেনি ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটি। উল্টো অবশ্য কয়েকবার ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়াকে পরীক্ষায় ফেলেছিল ব্রেন্টফোর্ড, যদিও শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পায়নি তারা। আর ঘরের মাঠে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।