দাদা ও বাবার পর নাতিও জাতীয় দলে, ইতালির ফুটবলে মালদিনি পরিবারের ইতিহাস
৬৪ বছর আগে ইতালি দলে অভিষেক হয়েছিল দাদা সিজার মালদিনির। বাবা পাওলো মালদিনির অভিষেক হয়েছিল ৩৬ বছর আগে। সেই পথ ধরে এবার মালদিনি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের ফুটবলার হিসেবে ইতালি দলে অভিষেক হয়েছে দানিয়েল মালদিনির। ইতালির ফুটবলে প্রথমবারের মতো একই পরিবারের তিনজন জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেলেন। দারুণ এক ইতিহাসই বটে!
দানিয়েলের দাদা সিজার মালদিনির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব দীর্ঘ ছিল না। অভিষেকের পর সব মিলিয়ে ১৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে সিজারের কীর্তিকে ছাপিয়ে যান পাওলো, যিনি মূলত মালদিনি নামেই বেশি পরিচিত। সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ১৯৮৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ইতালির হয়ে খেলেছেন ১২৬টি ম্যাচ।
নিজের সময়ে ইতালির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও ছিল মালদিনির, যা পরে পেরিয়ে যান বিশ্বকাপজয়ী দুই কিংবদন্তি ফাবিও কানাভারো ও জিয়ানলুইজি বুফন। বাবার হাতছাড়া হওয়া রেকর্ড দানিয়েল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন কি না, সে উত্তর সময়ের হাতেই তোলা থাক।
উদিনেতে গতকাল দানিয়েলের জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার দৃশ্য গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছেন বাবা মালদিনি। নেশনস লিগে ইসরায়েলের বিপক্ষে ৪–১ গোলে জেতা ম্যাচটিতে দানিয়েল অবশ্য নামেন বদলি হিসেবে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গিয়াকোমো রাসপাদোরির পরিবর্তে মাঠে নামেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ। দাদা–বাবার পথ ধরে ফুটবলে এলেও দানিয়েলের কিন্তু তাঁদের সঙ্গে বড় একটি অমিল আছে। দুই পূর্বসুরি ডিফেন্ডার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করলেও দানিয়েল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
ইতালির জার্সিতে নিজের অভিষেক নিয়ে মোনৎসার হয়ে খেলা দানিয়েল বলেছেন, ‘অনুভূতি খুবই ইতিবাচক। আমি আনন্দিত যে আমি মাঠে নেমেছি এবং ম্যাচটা খুবই ভালো হয়েছে। আমার মা–বাবা এখানে উপস্থিত আছেন, সেটাও ভালো লাগছে। বাসায় গেলে আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
দানিয়েলের অভিষেকের রাতে ইতালির জয়ে জোড়া গোল করেছেন জিওভানি ডি লরেনৎসো। আর একটি করে গোল করেছেন মাতেও রেতেগুই এবং দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এই জয়ে নেশনস লিগের লিগ ‘এ’র গ্রুপ ২–এর শীর্ষে আছে ইতালি। চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে আজ্জুরিদের পয়েন্ট ১০।
ইতালির হয়ে খেলা এক পরিবারের তিন প্রজন্মের ফুটবলার:
সিজার মালদিনি—অভিষেক ১৯৬০
পাওলো মালদিনি—অভিষেক ১৯৮৮
দানিয়েল মালদিনি—অভিষেক ২০২৪
একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে রানদাল কোলো মুয়ানির জোড়া গোলে বেলজিয়ামকে তাদের মাঠে ২–১ গোলে হারিয়েছে ১০ জনের ফ্রান্স। ব্রাসেলসে পাওয়া জয়ের পরও ফ্রান্সকে গ্রুপের দুইয়ে থাকতে হচ্ছে। চার ম্যাচে ৩ জয় ও ১ হারে ফ্রান্সের পয়েন্ট ৯। আর তিনে থাকা বেলজিয়ামের পয়েন্ট ৪ ম্যাচে ৪।