২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

খেলতে না পেরে কাঁদছেন নেইমার

লম্বা সময় ধরে চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমারএক্স

শেষ হচ্ছে নেইমার–ভক্তদের প্রতীক্ষা। চোট কাটিয়ে এখন মাঠে নামতে প্রস্তুত এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। নেইমারের ফেরার খবর অবশ্য আগেই নিশ্চিত করেছিলেন আল হিলাল কোচ হোর্হে জেসুস। সোমবার আল আইনের বিপক্ষে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে নেইমারের ফেরার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন তিনি

ম্যাচটিতে নেইমারের মাঠে নামা শতভাগ নিশ্চিত না হলেও দলের সঙ্গে আল আইনের বিপক্ষে খেলার জন্য উড়াল দিয়েছেন তিনি। ফলে নেইমারের খেলায় ফেরা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।

এর আগে জেসুসের ঘোষণার পর নিজের ফেরার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় জানান নেইমারও। নেইমারের অনুশীলনের খণ্ডচিত্র দিয়ে সাজানো ভিডিওতে আল হিলাল তারকা বলেছেন, ‘আমি প্রস্তুত। আমি জানি আপনারা উদ্বিগ্ন। আমি নিজেও উদ্বিগ্ন। অক্টোবরের ২১ তারিখ আমি ফিরছি।’

এদিকে নিজের ফেরা নিয়ে ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিও বার্তায় কাঁদতে দেখা গেছে নেইমারকে। সেই ভিডিওতে নেইমার কথা বলেছেন ফুটবলের প্রতি নিজের ভালোবাসা এবং খেলাটির সঙ্গে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে। ফুটবলের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা আগেও অনেকবার বলেছিলেন নেইমার। তবে একের পর এক চোটে পড়ে নিজের সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে বারবার দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন

ভিডিওতে চোখের পানি মুছতে মুছতে ফুটবলের প্রতি নিজের ভালোবাসা জানিয়ে নেইমার বলেছেন, ‘জীবনে আমি যেটা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেটা হচ্ছে ফুটবল খেলা। ফুটবল থেকে দূরে থাকা প্রতিটি দিন আমার জন্য যন্ত্রণার। আর এই বিষয়টিই (না খেলতে পারা) আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছিল।’

চোট অবশ্য নেইমারকে কখনোই আটকে রাখতে পারেনি। যখনই চোটে পড়েছেন পরিশ্রম করে সেই চোটকে জয় করে মাঠে ফিরেছেন। এবারও সেই একই উদ্দীপনা নিয়ে ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন ব্রাজিলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল করা এই ফুটবলার। তবে ভক্তদের প্রত্যাশা থাকবে এরপর যেন নেইমার আর চোটে না পড়েন।

গত বছর ১৮ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের ২-০ গোলে হারা ম্যাচে চোটে পড়েন নেইমার। বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন এ ফরোয়ার্ড। এরপর আর মাঠে ফেরা হয়নি তাঁর। সম্প্রতি উরুগুয়ের বিপক্ষে চোটে পড়ার সেই মুহূর্তটি নিয়ে নেইমার বলেছেন, ‘আমি তীব্র ব্যথা অনুভব করছিলাম এবং আমি তখনই জানতাম যে এটা মারাত্মক।’