‘পৌরুষ দেখাতে’ জুভেন্টাসেই থাকবেন আলেগ্রি
আর্থিক হিসাব বিবরণীতে অনিয়মের দায়ে চলতি মৌসুমের সিরি আ-তে জুভেন্টাসের ১৫ পয়েন্ট কাটা গেছে। ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (এফআইজিসি) দেওয়া এই শাস্তির ফলে পয়েন্ট তালিকার ৩ থেকে ১০ নম্বরে নেমে গেছে ‘তুরিনের বুড়ি’রা। পাঁচটি জয়ের সমান পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় জুভেন্টাসের শিরোপা জেতার আশা এখানেই শেষ। শীর্ষে থাকা নাপোলি ২৫ পয়েন্টে এগিয়ে।
শুধু লিগ শিরোপাই নয়, জুভেন্টাসের আগামী মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলাও এখন শঙ্কায়। ইউরোপ সেরার ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলতে হলে সিরি আ-তে প্রথম চারের মধ্যে থাকতে হবে। আর ইউরোপা লিগে খেলতে হলে মৌসুম শেষে থাকতে হবে পাঁচে। এমনকি মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতার তৃতীয় সর্বোচ্চ আসর ইউরোপা কনফারেন্স লিগের প্লে-অফে খেলতে হলে হতে হবে ষষ্ঠ। ১৫ পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় এই মুহূর্তে সবগুলো টুর্নামেন্টই জুভেন্টাসের নাগালের বাইরে।
সেরা চার, নিদেনপক্ষে প্রথম ছয়ের মধ্যে জায়গা করতে জুভেন্টাসের সামনে এখন কঠিন পথ। এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের কেউ কেউ হয়তো নতুন ক্লাব খোঁজায় মনোযোগ দিতে পারেন। কারও কারও ধারণা, সরে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারেন কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রিও।
তবে ৫৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ক্লাবের দুঃসময়ে পাশে থাকার কথা, ‘আমি জুভেন্টাসের কোচ আছি, সামনেও থাকব, যদি না আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের কঠিন সময়ে পৌরুষ দেখাতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়।’
এরই মধ্যে এফআইজিসির শাস্তির বিষয়ে আপিলের কথা জানিয়েছে জুভেন্টাস। ইতালির অলিম্পিক কমিটির কাছে করা সেই আপিলের রায় আসতে পারে মার্চে।
আলেগ্রি আপাতত সেই অপেক্ষায়, ‘আপাতত রায়টা আমাদের মেনে নিতে হবে। এখন চুপ করে থেকে ২২ পয়েন্ট নিয়ে নতুনভাবে শুরু করার সময়। দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রায় আসার কথা। এই দুই মাস আমরা অনুতাপ করে কাটিয়ে দিতে পারি না।’
দুই মাস পর অলিম্পিক কমিটির রায়ও যদি জুভেন্টাসের পক্ষে না আসে, চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। এ বছর গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়া দলটির কোচ বললেন, আগামী বছরের কথা তাঁর মাথায় আছে, ‘রায় আসার পর আমি হিসাব করে দেখলাম সামনের চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে কত পয়েন্ট লাগে। দেখলাম আমরা মোটামুটি অবস্থায় আছি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে হলে বিশেষ কিছুই লাগবে।’
১৮ রাউন্ড শেষে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার অবস্থানে আছে নাপোলি, এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও লাৎসিও। এর মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকা লাৎসিওর পয়েন্ট ৩৪, জুভেন্টাসের ২২।