মেসি নন, সাবেক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের চোখে এমবাপ্পেই সেরা
হুগো গাত্তিকে মনে আছে? ১৯৬৬ বিশ্বকাপ দলে থাকলেও আর্জেন্টিনার ‘অটোমেটিক চয়েস’ গোলকিপার তিনি ছিলেন না। তবে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে ষাট ও সত্তর দশকে গাত্তি পরিচিত নাম। আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এখনো তাঁর দখলে।
‘এল লোকো’ (পাগল) নামে খ্যাতি পাওয়া সাবেক এই গোলকিপার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসিকে নিয়ে এমন এক মন্তব্য করেছেন, যা শুনে স্বয়ং আর্জেন্টাইনদেরই মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে।
স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রিভার প্লেট, জিমনাশিয়া ও বোকা জুনিয়র্সে খেলা ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই গোলকিপার। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে তিনি আনন্দিত। তবে লিওনেল মেসিকে নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেননি গাত্তি।
ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মেসির ওপরেই রাখছেন ১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারজয়ী গাত্তি। মেসি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে কখনো টপকে যেতে পারবেন না বলেও মনে করেন ১৯৭৭ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা এই গোলকিপার।
স্পেনের টিভি অনুষ্ঠান ‘এল চিরিনগুইতো’য় হুগো গাত্তি বলেছেন, ‘এটা সত্য যে মেসি ভালো খেলেছে। তবে আমার কাছে এমবাপ্পেই বিশ্বসেরা। তার ভবিষ্যৎও সবচেয়ে ভালো। তবে লোকে বলতে পারে, আমি আর্জেন্টিনাবিরোধী। কারণ, নিজে যা দেখি এবং বুঝি, সেই সত্যই বলি।’
কাতার বিশ্বকাপে ৭ গোল করার পাশাপাশি ৩ গোল করিয়ে ‘গোল্ডেন বল’ জিতেছেন মেসি। ‘গোল্ডেন বুট’ জিতেছেন ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-২ গোলে হারে ফ্রান্স।
গাত্তির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মেসি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাপিয়ে যেতে পেরেছেন কি না? আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতিয়ে অমরত্ব নিশ্চিত করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সেই সাফল্যের ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরে আবার বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা।
গাত্তি উত্তরে বলেছেন, ‘প্রথমত, কেউ পেলেকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না। আর আর্জেন্টিনায় কেউ ডিয়েগোকেও পেছনে ফেলতে পারবে না। আমি জানি না, লোকে এসব মানবে কি না। তবে আমি ফুটবলকে এভাবেই দেখি। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন ধরুন, দি মারিয়া দুর্দান্ত খেলেছে। কিন্তু কেউ তাকে নিয়ে কিছু বলছে না।’