ক্যানসার জয় করে মাঠে ফিরলেন ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড
গত গ্রীষ্মের দলবদলে আয়াক্স থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে এসে দারুণ কিছু করার স্বপ্ন দেখছিলেন সেবাস্তিয়ান হলার। তবে মাঠে নেমে কোনো ম্যাচ খেলার আগেই তাঁর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। জানা যায়, টেস্টিকুলার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন আইভরি কোস্টের এই স্ট্রাইকার।
ফুটবল খেলা দূরের বিষয়, তাঁর তখন রীতিমতো প্রাণসংশয়। তবে মাঠে নেমে লড়াই করা যাঁর রক্তে, তিনি ক্যানসারের কাছে হার মানবেন কেন! মানেননি হলারও। ক্যানসারকে হারিয়ে আবার নেমেছেন মাঠে। দ্বিতীয় সারির ক্লাব ফরচুনা ডুসেলদর্ফের বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলেছেন এই স্ট্রাইকার। ম্যাচে ফরচুনাকে ৫–১ গোলে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড।
এর আগে ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়েই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার দুঃসংবাদ পান হলার। এরপরই শুরু হয় তাঁর বেঁচে থাকার লড়াই। ছয় মাস ধরে লড়াই করেছেন প্রাণঘাতী এই রোগের সঙ্গে। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর দুবার অস্ত্রোপচার করার পাশাপাশি কেমোথেরাপির মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে হলারকে। এর মধ্যে দলের সঙ্গে শীতকালীন অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়ে আলোচনায় আসেন ২৮ বছর বয়সী এই তারকা।
এক সাক্ষাৎকারে তখন ‘ভালো বোধ করছেন’ জানিয়ে হলার বলেছিলেন, ‘এই ছয় মাস আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমি এখানে বাকিদের সঙ্গে অনুশীলন করতে পেরে আনন্দিত। এটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে এটাই আমার কাজ, আমি খেলাটাকে ভালোবাসি। তাই আমাকে ফিট থাকতে হবে।’
সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেও যে পুরোপুরি নির্ভার নন, তা–ও ফুটে উঠেছে হলারের কণ্ঠে। তিনি আরও বলেছেন, ‘এই ধরনের অসুস্থতার ক্ষেত্রে আপনি জানেন না ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে। আমাকে প্রতিটি দিন নিয়েই আলাদা করে ভাবতে হবে এবং নিজেকে ফিট রাখতে হবে।’
তবে যখনই মাঠে নামবেন, নিজেকে উজাড় করে দিতে চান বলে মন্তব্য করেছেন হলার, ‘যেকোনো কিছু সম্ভব। আমি নিজের জন্য কোনো সীমা বেঁধে দেব না। আমার সীমানা নির্ধারণ করে দেবে ট্রেইনার ও চিকিৎসক দল।’
এর আগে এক ভিডিও বার্তায় সমর্থকদের ধন্যবাদও দিয়েছিলেন হলার। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে আপনাদের সহায়তায় সবকিছু সম্ভব।’
হলারের ফেরা নিয়ে ডর্টমুন্ডের স্পোর্টিং ডিরেক্টর রুর নাচিরিচতেন বলেছেন, ‘সেবাস্তিয়ানের ফিরে আসা আমাদের সবার জন্য ইতিবাচক সংবাদ। ক্লাব তাকে সম্ভাব্য সব সহায়তা দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তার নিজের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।’