২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘অকৃতজ্ঞ’ বায়ার্নের সমালোচনা মানের এজেন্টের

বায়ার্ন মিউনিখ তারকা সাদিও মানেছবি: এএফপি

সাদিও মানে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিয়েছিলেন তিন বছরের চুক্তিতে। কিন্তু এক বছর পরই তাঁকে ক্লাব ছাড়তে হয়েছে। ৩১ বছর বয়সী এই সেনেগাল তারকা এবারের দলবদলে নাম লিখিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে। এরই মধ্যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ হিসেবে অভিষেকও হয়েছে মানের।

তবে এ বছরই যে বায়ার্ন ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে হবে, সেটা ভাবতে পারেননি মানে। ক্লাব ছাড়ার সময়ই বলেছেন, ‘এভাবে বিদায় নিতে চাইনি।’ এবার বায়ার্নের প্রতি মানের অসন্তোষের খবর সামনে এনেছেন তাঁর এজেন্ট বাকারি সিজে। আফ্রিকান হিসেবে মানের প্রতি বায়ার্নে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

বায়ার্ন মিউনিখ লিভারপুল থেকে মানেকে কিনেছিল চার কোটি ইউরোর বেশি দামে। এক বছর পর বিক্রিও করেছে প্রায় একই দামে। ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তিন বছরের চুক্তিতে বছরের চার কোটি ইউরো বেতন পাবেন মানে। যেটা বায়ার্নে ছিল দুই কোটি ইউরোর মতো।

বাকারি সিজের দাবি, মানে অর্থের মোহে সৌদি আরবে যাননি। বরং বায়ার্ন মিউনিখই তাঁকে বের করে দিতে চেয়েছে। টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘আফটার ফুট আরএমসি’তে অংশ নিয়ে সিজে বলেন, ‘(বায়ার্ন) ফুটবলীয় কারণে বিক্রি করেনি। মানে যে বেতন পেত, সেটা মানতে পারছিল না জার্মানরা। ওরা বুঝতে পারছিল না, একজন আফ্রিকান কীভাবে এই দলে এল, আর সবার চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছে। যে কারণে ওরা মানেকে ত্যাগ করতে চাইছিল।’

মানেকে বিক্রি করার পেছনে তাঁর ফর্মই মূল কারণ বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছে বায়ার্ন। কোট টমাস টুখেল একাধিকবার ‘মানেকে আরও চ্যালেঞ্জ নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন। অবশ্য মানের ফর্মও ভালো ছিল না, বায়ার্নে এক বছরে ৩৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ১২ গোল করতে পেরেছেন। চোটের কারণে তিন মাস বাইরেও বসে ছিলেন। এর সঙ্গে যোগ হয় গত এপ্রিলে সতীর্থ লেরয় সানের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানার মতো আচরণসম্পর্কিত বিষয়ও।

আরও পড়ুন

তবে দুইবারের আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় মানের সঙ্গে বায়ার্নের আচরণ পেশাদার ছিল না বলে দাবি সিজের। তাঁর মতে, অকৃতজ্ঞের আচরণ করেছে জার্মান ক্লাবটি, ‘তারা কখনোই সাদিওকে সামনাসামনি ডেকে বলেনি যে তোমাকে আমরা আর চাই না। তারা শুধু টুখেলকে পাঠিয়েছে। টুখেল বলেছেন, “তোমার উইংয়ে তৃতীয় পছন্দ হয়ে থাকতে হবে।” সাদিওর তো জার্মানদের কাছে প্রমাণের কিছু নেই। সে আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা তো বায়ার্নের কারণে নয়, লিভারপুলের কারণে। বায়ার্ন কৃতজ্ঞ ছিল না। একজন আফ্রিকানকে সব টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে, এটা ওদের পোড়াত।’

আরও পড়ুন