গার্দিওলার রসিকতা—‘মেসির রেকর্ড রক্ষা করতেই হলান্ডকে তুলে নিয়েছি’
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। ম্যান সিটির ৭–০ ব্যবধানে জেতা সেই ম্যাচে আর্লিং হলান্ড ৫৭ মিনিটের মধ্যে করেছেন ৫ গোল। এর ৬ মিনিট পর, ম্যাচের ৬৩ মিনিটে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ পেপ গার্দিওলা।
এফএ কাপে গত রাতে বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচ। এবার হল্যান্ড ৫৯ মিনিটের মধ্যে করলেন ৩ গোল। কাল এ ম্যাচেরও ৬৩ মিনিটে হলান্ডকে তুলে নেন গার্দিওলা।
এ দুই ম্যাচে হলান্ডকে তুলে নেওয়াটা স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহলী করে তুলেছে অনেককে। এমন খেলতে থাকা একজনকে কেন তুলে নিলেন গার্দিওলা? হলান্ডের ইনজুরি–টিনজুরিও তো কিছু হয়নি। লাইপজিগের বিপক্ষে ৫ গোল করেই রেকর্ড বইয়ে উঠে গেছেন। না তুলে নিলে হয়তো আরও বড় কিছু করতে পারতেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কথা হয়েছে। অনেকে এমনও বলেছেন, গার্দিওলা হয়তো তাঁর সাবেক শিষ্য লিওনেল মেসির রেকর্ড রক্ষা করতেই হলান্ডকে তুলে নিয়েছেন। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে ৫ গোল ছিল মেসিরও। ২০১২ সালে বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মেসি ৫ গোল করার সেই ম্যাচে বার্সেলোনার কোচ ছিলেন গার্দিওলা।
দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে অনেকেই বলেছেন, হলান্ড যেন ৬ গোল করে মেসিকে রেকর্ড বই থেকে মুছে দিতে না পারেন, এ কারণেই তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। কথাটা নিশ্চয়ই গার্দিওলার কানে গেছে। নইলে কাল এফএ কাপের ম্যাচের পর হলান্ডকে তুলে নেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের এমন উত্তর দেবেন কেন!
তা কী বলেছেন গার্দিওলা? নির্বিকার মুখে সিটির কোচ বলে হলান্ডকে তুলে নেওয়ার ‘আসল’ কারণটা, ‘আমি তাকে বদলি করেছি। কারণ, আমি চাইনি ইংল্যান্ডে এফএ কাপে মেসির যে রেকর্ডটি আছে, সেটি সে ভেঙে ফেলুক।’
আসল কারণ যে এটা নয়, তা আপনার অনুমান করে ফেলার কথা। শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, গার্দিওলা এ কথা বলে আসলে খোঁচা দিয়েছেন লাইপজিগ ম্যাচের পর যাঁরা মেসির রেকর্ডের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন, তাঁদেরও। মেসি তো কখনো ইংল্যান্ডেই খেলেননি, এফএ কাপে খেলারও তাই প্রশ্নই ওঠে না। এফএ কাপে মেসির রেকর্ড তাহলে কোত্থেকে আসবে?