চোটে ম্যাচ না খেললেও কার্নিভ্যালে নেইমার, আবার সমালোচনার ঝড়

পার্টি করতে গিয়ে সমালোচিত নেইমারইনস্টাগ্রাম

চোটের কারণে লম্বা সময় বাইরে থাকার পর সান্তোসের হয়ে নিয়মিত খেলা শুরু করেছিলেন নেইমার। এর মধ্যে ৭ ম্যাচ খেলে ৩ গোল ও ৩ অ্যাসিস্টে আলোও ছড়িয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু এরপরই বাধে বিপত্তি।

গতকাল ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তার সেমিফাইনালে চোটের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে যান নেইমার। পরে বেঞ্চে বসে দেখেছেন দলের বিদায়। করিন্থিয়ানসের বিপক্ষে সান্তোসের হার ২-১ গোলে।

সেই ম্যাচের আগে খেলতে না পারার কষ্টে নেইমারের কান্নার ভিডিও সামনে এসেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরালও হয়েছে। অবশ্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে। মূলত সেমিফাইনালের আগে গত সপ্তাহে কার্নিভ্যাল দেখতে যাওয়ার কারণেই এই সমালোচনা শুনতে হচ্ছে নেইমারকে।

৩ মার্চ সান্তোস-ব্রাগানতিনো ম্যাচে বদলি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নেইমারকে দেখা যায় কার্নিভ্যাল প্যারেডে। চোটশঙ্কা নিয়ে নেইমারের পার্টিতে যাওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না অনেকেই।

আরও পড়ুন

জনপ্রিয় লেখক কাসাগ্রান্দে জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সে সেমিফাইনালের বদলে কার্নিভ্যালকে বেছে নিয়েছে। নেইমারের গত পাঁচ বছরের আচরণ আবার ফিরেছে। সে নিজের মজা ও আনন্দের জন্য পেশাদারির দিকও বদল ফেলে।’

অন্য এক সাংবাদিক যেমন লিখেছেন, ‘এটা সমর্থন করার মতো নয়। সে ফুটবলকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। এমনকি চোটও তার কার্নিভ্যালে যাওয়া ঠেকাতে পারেনি।’ আরেক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘সে কখনো বদলাবে না।’ অন্য একজনের মতো এমন, ‘চোট নিয়ে নেইমারের কার্নিভ্যালে যাওয়া তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’ আরেকজন ভক্ত লিখেছেন, ‘সে কখনোই বদলাবে না। অথচ বার্সা সমর্থকেরা তাকে দলে ফেরাতে চায়।’

বেঞ্চে বসে দলের বিদায় দেখেছেন নেইমার
এএফপি

এমন সমালোচনা থামাতেই হয়তো সান্তোস নেইমারের কান্নার ভিডিওটি প্রকাশ করেছে, যেখানে সেমিফাইনালের আগে অশ্রুসিক্ত নেইমার সতীর্থদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ ধরনের মুহূর্ত খুবই কঠিন। আমি সবদিক থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। যদি সম্ভব হয় আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আপনারা জানেন না, মনের দিক থেকে দিক থেকে মাঠে নামতে আমি কতটা উন্মুখ হয়ে আছি।’

আরও পড়ুন

এদিকে নিজের চোট নিয়ে ইনস্টাগ্রামে নেইমার লিখেছেন, ‘আমি যেকোনো মূল্যে মাঠে থাকতে চাই এবং দলকে সহায়তা করতে চাই। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আমি অস্বস্তি বোধ করি, যা আমাকে মাঠে নামা থেকে বিরত রেখেছে।’ চোটে পড়লেও কোচ পেদ্রো কাইজিনহা নেইমারকে বেঞ্চে থাকতে বলেছিলেন, নেইমার ছিলেনও। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি। বেঞ্চে বসেই দলের বিদায় দেখেছেন তিনি।