ব্রাইটনকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে ক্লপের লিভারপুল
লিভারপুল ২: ১ ব্রাইটন
‘অ্যানফিল্ডে এসেছে ব্রাইটন, লিভারপুল সাবধান!’
কেন এই সতর্কবার্তা, সেটি আজ ম্যাচ শুরুর দেড় মিনিটের মধ্যেই দিয়েছিল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিয়ন। সর্বশেষ তিনটি অ্যানফিল্ড সফর থেকেই অন্তত ১টি পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফেরা ব্রাইটন যে ততক্ষণে এগিয়ে গেছে ১-০ গোলে।
তবে আজ আর সাম্প্রতিক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়নি। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ইয়ুর্গেন ক্লপের দল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি জিতেছে ২-১ গোলে। আর ২৯তম ম্যাচে পাওয়া ২০তম জয়টি অন্তত কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে তুলে দিয়েছে অল রেডদের। ২৯ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৬৭। আর্সেনাল-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচে গানাররা না জিতলে শীর্ষেই থাকবে ১৯ বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরুতে লিভারপুল সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে ব্রাইটনকে এগিয়ে দেন ড্যানি ওয়েলবেক। নিজেদের অর্ধ থেকেই আক্রমণে উঠে আসে ব্রাইটন। সিমন আদিংরা বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল বাড়ান লিভারপুলের বক্সে। ভার্জিল ফন ডাইক ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারলেন না, এই সুযোগে বলের দখল পেয়ে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকার ওয়েলবেক গোল করে এগিয়ে দেন ব্রাইটনকে।
এরপর গোল শোধে মরিয়া লিভারপুল শাণিয়ে গেছে আক্রমণের পর আক্রমণ। বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ নষ্ট করার পর লিভারপুল সমতায় ফেরে ২৭ মিনিটে। কর্নার থেকে মোহাম্মদ সালাহর মাথা হয়ে ব্রাইটনের এক খেলোয়াড়ের পা ছুঁয়ে বল চলে যায় লুইস দিয়াজের কাছে। কলম্বিয়ান উইঙ্গারের ভলি খুঁজে নেয় ব্রাইটনের জাল। অফসাইডের আবেদন করেছিলেন ব্রাইটনের খেলোয়াড়েরা। রেফারি ও ভিএআর, কেউই সেই দাবিতে টলেননি।
লিভারপুল এগিয়ে যায় ৬৬ মিনিটে। ব্রাইটন থেকে লিভারপুলে যোগ দেওয়া অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের নিখুঁত এক পাস ব্রাইটনের বক্সে খুঁজে নেয় সালাহকে। মিসরীয় তারকা দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি।
৭ মিনিট পর ব্রাইটনের জালে আরেকবার বল জড়িয়েছিলেন দিয়াজ। এবার অবশ্য আগেই উঠে গিয়েছিল সহকারী রেফারির অফসাইডের পতাকা। ব্রাইটনের গোলরক্ষকের বাধায় আরও কয়েকবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারানো লিভারপুল নিজেরাও বেঁচেছে একবার। ৮৭ মিনিটে অ্যাডাম লালানার শটটা অল্পের জন্যই যায় বাইরে।