বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের বিদায় আপনজন হারানোর চেয়েও বেদনার
চোখধাঁধানো দুটি গোল করে কাতার বিশ্বকাপে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রিচার্লিসন। একটি সার্বিয়ার বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে, অন্যটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাথায় বল নিয়ে জাগলিংয়ের পর বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রথম গোল তো বিশ্বকাপ সেরারই স্বীকৃত পেয়েছে। আছে বর্ষসেরা গোলের (পুসকাস পুরস্কার) সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও।
তবে রিচার্লিসনের কাছে এসব যেন তুচ্ছ ব্যাপার! ‘হেক্সা’ অভিযানে সম্ভাব্য সেরা দল নিয়ে কাতারে যাওয়া ব্রাজিল বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে নেইমারের গোলে এগিয়ে গিয়েও টাইব্রেকারে হেরে ছিটকে পড়ে ‘সেলেসাও’রা।
টানা পঞ্চমবার ইউরোপীয় দলের কাছে স্বপ্নভঙ্গের পর কান্না লুকাতে পারেননি নেইমার–রিচার্লিসনরা। নেইমার তো কিছুদিনের জন্য মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের বাদ পড়া নিয়ে সে সময় সংবাদমাধ্যমে কিছু না বললেও এত দিনে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন রিচার্লিসন। ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম হটস্পারের এই তারকা মনে করেন, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটের সেই হার আপনজনের মৃত্যুর চেয়েও বেশি বেদনার। সম্প্রতি ইএসপিএনকে এক সাক্ষাৎকারে ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘এটা পরিবারের কাউকে হারানোর চেয়েও বেশি খারাপ ছিল। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন। ওই ম্যাচের ভিডিও এখনো আমাকে কষ্ট দেয়।’
ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অবশ্য এখনো দেখছেন রিচার্লিসন, ‘সব ভুলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমার বয়স খুব বেশি নয়। আরও একটি বা দুটি বিশ্বকাপ খেলার আশা করছি। গোল পেতে শুরু করেছি। কঠোর প রিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার, এখন আমি জানি মাঠে কী করতে হবে।’
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন রিচার্লিসন, ‘আমাদের জন্য উৎসব করতে যাঁরা কাতারে জড়ো হয়েছিলেন কিংবা ব্রাজিলে বসে আমাদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন, সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’