দুবার পিছিয়ে পড়েও মেসি-নেইমার জাদুতে পিএসজির জয়
মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে-এই ত্রয়ী যে দলে আছেন, সে দল যেকোনো মুহূর্তে খেলার রঙ বদলে দেবে; এটাই তো স্বাভাবিক। আজ পার্ক দে প্রিন্সেসে আরও একবার সেটা প্রমাণিত হলো। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ত্রয়ার বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে গিয়েও এই ত্রয়ীর অসাধারণ পারফরম্যান্সে ম্যাচটি ৪-৩ গোলে জিতেছে পিএসজি। বিশেষ করে জাদু দেখিয়েছেন মেসি ও নেইমার।
ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৩ মিনিট। পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসের গ্যালারি স্তব্ধ করে দিয়ে মামাদু বালদের গোলে এগিয়ে যায় ত্রয়া। গোল খেয়ে যেন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন লিওনেল মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পেরা। ত্রয়ার রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ করে যান।
২৪ মিনিটে এর ফলও পেয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের অসাধারণ এক পাস থেকে বক্সের মধ্য থেকে দারুণ এক গোলে পিএসজিকে সমতায় ফেরান কার্লোস সোলের। পিএসজির হয়ে এটি তাঁর প্রথম গোল। আর নেইমারের এটি চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পিএসজির হয়ে ১১তম অ্যাসিস্ট।
প্রথমার্ধে এরপর ত্রয়ার রক্ষণে আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়ায় পিএসজি। কিন্তু গোল পায়নি। প্রথমার্ধটা যেখানে শেষ করেছিল, পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধটা সেখান থেকেই শুরু করে। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে গোল খেয়ে যায় পিএসজিই। এবারও ত্রয়ার গোলদাতা বালদে।
এবার অবশ্য গোল শোধ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি পিএসজি। ৫৫ মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরানো গোলটি করেন মেসি, বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে গোলটি তিনি করেছেন সের্হিও রামোসের পাস থেকে। পিএসজির হয়ে চলতি মৌসুমে এটি তাঁর ১২তম গোল।
৭ মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান নেইমার। বক্সের বাইরে থেকে মেসির দেওয়া পাসটি যখন তিনি নিয়ন্ত্রণে নেন, সামনে ছিল শুধু গোলকিপার। ত্রয়ার গোলকিপারের ডান পাশ দিয়ে বলটি অসাধারণ দক্ষতায় জালে পাঠান নেইমার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ১২তম গোল আর মেসির ১৩তম অ্যাসিস্ট।
ত্রয়ার বিপক্ষে এরপর পিএসজির যেটুকু অপূর্ণতা ছিল, তা পূরণ হয়ে যায় ৭৭ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ত্রয়ীর আরেক সদস্য এমবাপ্পে। এরপর অবশ্য হুমকি হয়ে এসেছিল ৮৮ মিনিটে আন্তে পালাভেরসার ব্যবধান কমানো কম। কিন্তু ওইটুকুই, পালাভেরসার গোলে হারের ব্যবধানটা কমিয়ে শুধু ৪-৩ করতে পেরেছে ত্রয়া। পিএসজির মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারেনি তারা।