নিষিদ্ধ সোহাগ কেন বাফুফে নির্বাচনে
২০২৩ সালের এপ্রিলে দুর্নীতির দায়ে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে। শুধু বাফুফে থেকেই নয়, যেকোনো ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকেই তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বছর মে মাসে ফিফার অধিকরতর তদন্তে আবু নাঈমের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বেড়ে হয়েছে তিন বছর। নিষিদ্ধ হওয়ার পর দৃশ্যপটের বাইরে চলে গেলেও বাফুফের নির্বাচন উপলক্ষে আবারও দৃশ্যপটে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
কিছুদিন আগেই নির্বাচনকে সামনে রেখে সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবু নাঈম। সভাপতি প্রার্থীর সঙ্গে ছবি তুলে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেন তিনি। আজ নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে সরব উপস্থিতি ফিফার নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের। গতকাল শুক্রবার নির্বাচনের আগের দিনও অনেক রাত পর্যন্ত তাঁকে হোটেলে দেখা গেছে।
আবু নাঈম সোহাগ এবার বাফুফের নির্বাচনকে ঘিরে দৃশ্যপটে এসেছেন মূলত তাঁর স্ত্রীর জন্য। তৃতীয় বিভাগের ক্লাব বিক্রমপুর কিংসের কাউন্সিলর হয়েছেন তাঁর স্ত্রী তাসমিয়া রেজোয়ানা। তিনি এবারের নির্বাচনে সদস্যপদে লড়াইও করছেন। আবু নাঈম তাঁর স্ত্রীর জন্যই নির্বাচনে ভোট চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও আজ প্রথম আলোকে তিনি অভিযোগটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘ফুটবল অঙ্গনে অনেক দিন কাটিয়েছি। নির্বাচন অনেকটাই মিলনমেলা। বহুদিন পর অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আমার জন্য ব্যাপারটাকে পুনর্মিলনীও বলতে পারেন।’
এ ব্যাপারে বাফুফে নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফিফা ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে, এমন কেউ যদি নির্বাচনের সময় উপস্থিত থাকে, সেটি নৈতিক নয়। তবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা সংশ্লিষ্ট কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দিত, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। দেখুন, বাফুফের নির্বাচন কমিশনের কাজ অনেকটাই বিচারিক। পুলিশিং আমাদের কাজ নয়। কেউ যদি হোটেলে আসে, তাহলে তো আমরা তাঁকে বাধা দিতে পারি না। বাধা তখনই দিতে পারব, যখন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসবে।’