মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে নিশ্চিত নয় পিএসজিই
কাল রেনের বিপক্ষে আরও একটি হার দেখল পিএসজি। বছরের শুরু থেকেই ফরাসি দলটা যেন এক অসুখী পরিবার। চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে এবারও। তারকাদ্যুতি ছড়িয়ে ইউরোপ–সেরা ক্লাব হওয়ার যে পরিকল্পনা, সেটি নিয়েই এখন ভাবছে তারা। ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসিকে আদৌ দলে রাখা হবে কি না, এটি নিয়েই নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না পিএসজি।
ফরাসি পত্রিকা লে’কিপই জানিয়েছে ব্যাপারটি। মেসির সঙ্গে পিএসজির চুক্তি শেষ হয়ে যাবে এই জুনেই। বিশ্বকাপের পর থেকেই তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা শুরু হলেও এখনো কোনো নির্দিষ্ট সমঝোতায় আসতে পারেনি দুই পক্ষ। চুক্তি আজ হবে, কাল হবে করে কেটে গেছে তিন মাস। শোনা যাচ্ছে, মেসি নিজেই নাকি কিছু ব্যাপারে পিএসজির কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চান। দলের যাবতীয় পরিকল্পনার কেন্দ্রে এমবাপ্পেকে পছন্দ হচ্ছে না তাঁর। মাঝখানে মেসির এজেন্ট, তাঁর বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে আলোচনায় বসেও সেটি স্থগিত করতে হয়েছে। এখন লে’কিপের ভাষ্য অনুযায়ী মেসিকে রাখা হবে, নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে, সেটি নিয়েই নিশ্চিত হতে পারছে না পিএসজি।
২০২১ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই যোগ দিয়েছিলেন মেসি। চুক্তি হয় দুই বছরের। চুক্তিতেই সেটি তিন বছর পর্যন্ত বাড়ানোর একটা বিষয় ছিল। কিন্তু এখন এই আলোচনা পুরোপুরি ঘুরপাক খাচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন একটা চুক্তি করা নিয়েই। বিশ্বকাপের পর মেসি নিজের বেতন বাড়াতে চাচ্ছেন। খবরে প্রকাশ, মেসি নিজের বেতন কিলিয়ান এমবাপ্পের সমান করতেই চাপ দিচ্ছেন পিএসজিকে।
পিএসজিতে এখন মেসিকে নিয়ে দুই মত। এক দল চাচ্ছে মেসিকে আরও অন্তত একটা মৌসুমের জন্য রেখে দিতে। অপর পক্ষ এরই মধ্যে আগ্রহ হারিয়েছে মেসির ব্যাপারে। পিএসজির অভ্যন্তরেই অভিযোগ, মেসি বিশ্বকাপে যেভাবে আর্জেন্টিনার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন, তাঁর আংশিকও পিএসজির হয়ে খেলছেন না। যদিও রেনের বিপক্ষে কালকের ম্যাচটি পিএসজি হারলেও মেসিই ছিলেন সেরা খেলোয়াড়।
এর মধ্যেই মেসির বাবার সৌদি আরব সফর নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। সৌদি ক্লাব আল নাসর যেমন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দলে ভিড়িয়েছে। মেসির জন্যও নাকি এমন একটা প্রস্তাবই অপেক্ষা করছে। মেসিকে দলে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিও। মেসির পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনাও নাকি মেসিকে ফেরাতে চায়।
মেসি কী করবেন, পিএসজি–ই বা কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি সময়ই বলে দেবে।