আর্সেনালের হারে আরতেতার দায় দেখছেন গ্যারি নেভিল
ম্যাচের তখন ৭৩ মিনিট, আর্সেনাল ২–১ গোলে পিছিয়ে। এমিরেটসের দলটির কোচ মিকেল আরতেতা হঠাৎ করেই কৌশল বদলালেন। মাঝমাঠ দিয়ে বল বের করার বদলে তিনি উইংয়ে শক্তি বাড়াতে চাইলেন। এ কারণেই দুই মিনিটের মধ্যে তিনজন খেলোয়াড় বদল করলেন।
৭৩ মিনিটে মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ডকে তুলে নামালেন উইঙ্গার স্মিথ রোকে। ৭৪ মিনিটে জোড়া বদলি। আরেক মিডফিল্ডার সাম্বি লোকোঙ্গাকে তুলে নিয়ে নামালেন উইংয়ে খেলতে পারা ফাবিও ভেইরাকে। দুই উইং দিয়ে আসা এ দুজনের বল কাজে লাগানোর জন্য বাড়তি একজন ফরোয়ার্ডও মাঠে নামান তিনি—জিনচেঙ্কোকে তুলে নিয়ে এডি এনকেতিয়াহকে।
যে উদ্দেশ্যে এ বদল করা হয়েছিল, তার ফল পাননি আরতেতা। ম্যাচ শেষে বরং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার ও ফুটবল বিশ্লেষক গ্যারি নেভিল এই কৌশল বদলকেই আর্সেনালের ৩–১ গোলে হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসের হয়ে কাজ করা ফুটবল পণ্ডিত নেভিল বলেছেন, স্কোরলাইন ২–১ থাকার সময় এটার দরকার ছিল না। একটু আগেভাগেই মরিয়া হয়ে উঠেছে আরতেতা।
শেষ দিকে কৌশল বদলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হাগও। ৬৭ মিনিটে জেডন সানচোকে তুলে নিয়ে তিনি ফ্রেদকে মাঠে নামিয়েছেন। এটা কাজেও দিয়েছে। ফ্রেদের প্রতি–আক্রমণে এলোমেলো করে দিতে পেরেছেন আর্সেনালের মাঝমাঠ। এর ফল হিসেবে ৭৫ মিনিটে তৃতীয় গোলটি পেয়েছে ইউনাইটেড।
তৃতীয় গোল পাওয়ার পরও আর্সেনালের ওপর চাপ ধরে রাখতে মার্কাস রাশফোর্ডের জায়গায় কাসেমিরোকে নামিয়ে প্রতি–আক্রমণের বেগ বাড়ান টেন হাগ। নেভিল ম্যাচ শেষে তাঁর বিশ্লেষণে সে কথাও বলেছেন, ‘ইউনাইটেড বেশি নিখুঁত ছিল। ফ্রেদ ও কাসেমিরো মাঠে নামল। তারা পেছন থেকে প্রতি–আক্রমণ করেছে। আমি মনে করি না আর্সেনালের অত মরিয়া হওয়ার প্রয়োজন ছিল।’
দ্বিতীয়ার্ধে ভালোই খেলছিল আর্সেনাল। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে ৬৬ মিনিটে গোল খেয়ে বসে তারা। এ কারণেই আরতেতা মরিয়া হয়ে কৌশল বদলেছেন বলে মনে করেন নেভিল, ‘খেলার ধারার বিপরীতে দ্বিতীয় গোলটি খাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিল আর্সেনাল। তারা খেলার মূল মুহূর্তগুলো সামলাতে পারেনি। হার তাদের পাওনাই ছিল।’