গোল–খরা কাটাতে মনোবিদের সাহায্য নেবেন রিচার্লিসন
ব্রাজিল-বলিভিয়া ম্যাচে বক্সের ভেতর সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন রিচার্লিসন। তাঁর সেই গোল মিসের পর ব্রাজিল কোচ ফার্নান্দো দিনিজের অভিব্যক্তিতে বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। পরে ম্যাচের ৭১ মিনিটে রিচার্লিসনকে তুলে নিয়ে মাঠে নামানো হয় মাথেউস কুনিয়াকে। সেদিন মাঠে বদলি হিসেবে নেমে যাওয়ার পর ডাগআউটে বসে কাঁদতেও দেখা যায় রিচার্লিসনকে। তাঁর সেই চোখের জল যেন ভেতরের যন্ত্রণাটাকে ফুটিয়ে তুলেছিল। তবে রির্চালিসনের এমন বিপর্যস্ত অবস্থার কারণ অনুমান করতে খুব একটা কষ্ট হয় না।
সাম্প্রতিক সময়ে বাজে ফর্মের কারণে বেশ চাপে আছেন রিচার্লিসন। চেষ্টা করেও বেরোতে পারছেন না গোল–খরা থেকে। শেষ আজ পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটিও গোলহীনভাবে শেষ করেছেন রিচার্লিসন। এই ম্যাচে অবশ্য একবার বল জালে জড়ালেও সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। গত প্রায় পাঁচ মাস ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে সংগ্রাম করছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ১ গোল।
আর জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপের পর থেকে ৪ ম্যাচ খেলে পাননি কোনো গোলের দেখা। গোল–খরার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পড়তে হচ্ছে ট্রলের মুখে। সব মিলিয়ে বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন রিচার্লিসন। এর মধ্যে আজ পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের পর নিজের মানসিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বলেছেন, খুব দ্রুত তিনি মনোবিদের সাহায্য নিতে যাচ্ছেন।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদপত্র গ্লোবোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘পাঁচ মাস ধরে মাঠের বাইরে আমার খুব বিপর্যস্ত সময় যাচ্ছে। ঘরে এখন সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে। যেসব মানুষের চোখ আমার অর্থের ওপর ছিল, তারা এখন আমার থেকে দূরে সরে গেছে। এখন সবকিছু আবার গতিশীল হবে। আমি নিশ্চিত, টটেনহামে আবার দারুণ কিছু করতে শুরু করব। সবকিছু আবার ঠিকঠাক হবে।’
নিজের এমন দুরবস্থার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘আমার খারাপ সময় এ জন্য আসেনি যে আমি বাজে খেলছি। বেলেমেতে (যেখানে ব্রাজিল-বলিভিয়া ম্যাচ হয়েছে) মনে হয় আমি খারাপ খেলিনি। সেদিন কান্নাকাটি করেছি মাঠের বাইরে যা হচ্ছিল, তা নিয়ে। এটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।’
এ সময় ইংল্যান্ডে ফিরে মনোবিদের সাহায্য নেবেন জানিয়ে রিচার্লিসন বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে মানসিকভাবে শক্ত হতে মনোবিদের শরণাপন্ন হব। এটুকুই। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। আমি বিশ্বাস করি যে আমি পরের স্কোয়াডে থাকব। টটেনহামের হয়ে এখন ছন্দ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। আমাকে ছন্দ ফিরে পেতে হবে।’