আলভারেজ–রিচার্লিসনদের ইংরেজি শিক্ষক কে এই সারা দুকে
প্রতি মৌসুমে দলবদলে নতুন নতুন খেলোয়াড়ের আগমন ঘটে ইংল্যান্ডে। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য টাকার বস্তা নিয়ে মাঠে নামে ইংলিশ ক্লাবগুলো। দরদামে মিললে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়টিকে পেয়েও যায় তারা। কিন্তু সেটি কেবল একটি ধাপ। ফুটবল এখন সাধারণ আরেকটি খেলা নয়। শুধু মাঠে ৯০ মিনিট কাটিয়ে আসাই সব নয়।
মাঠের বাইরেও খেলোয়াড়দের নানাভাবে সামাজিক-বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়। পাশাপাশি ভিনদেশি সতীর্থ ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। আর এ জন্যই প্রয়োজন হয় ভিন্ন ভাষার, যার মাধ্যমে বেশির ভাগ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। আর এখানেই আসে ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা।
বিশ্বজুড়ে ইংরেজি যেভাবে সমাদৃত, নিজ দেশে তার কদর সম্পর্কে বেশি কিছু না বললেও হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে ইংল্যান্ডে আসা খেলোয়াড়দেরও শিখে নিতে হয় ইংরেজি। আর ইংল্যান্ডে খেলতে আসা বিভিন্ন ক্লাবের একাধিক ভিনদেশি ফুটবলারকে এই ভাষা শেখাচ্ছেন সারা দুকে নামের এক তরুণী।
সারার ছাত্রদের মধ্যে রিচার্লিসন, হুলিয়ান আলভারেজ ও আর্থার মেলো উল্লেখযোগ্য, যাঁরা তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ইংরেজি জ্ঞান পোক্ত করছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফুটবলারদের ইংরেজি শিক্ষিকা সারার বাড়ি কিন্তু পর্তুগালে। আর পেশায় তিনি একজন ক্রীড়া আইনজীবীও। ইংরেজি ছাড়া সারা পর্তুগিজ, জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও স্প্যানিশ ভাষায়ও খুব সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। বিভিন্ন দেশে আইন পেশায় কাজ করার পর সারা অনুবাদের কাজে মনোযোগ দেন। এরপরই চলে আসেন ক্রীড়া দুনিয়ায়। ব্যক্তিগতভাবে ভাষা শেখানোর আগে তিনি পোর্তোয় ভাষা শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় সারা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর আলভারেজের সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরা থেকে শুরু করে নতুন ভাষাকে জয় করা, আমার ছাত্ররা সব সীমানা ভেঙে দিচ্ছে। অল্প সময়ে দারুণ উন্নতি দেখিয়েছে।’
অবশ্য এমন নয় যে সারা শুধু ইংরেজি ভাষা শিখিয়ে থাকেন এবং প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দেরই শেখান। লা লিগার ক্লাব আলমেরিয়ার লাজারো ভিনিসিয়ুসকে চার মাস স্প্যানিশ ভাষাও শিখিয়েছেন সারা। সারা পাঁচ ধরনের খেলোয়াড়দের নতুন ভাষা শেখার পরামর্শ দিয়েছেন। যাঁদের এরই মধ্যে অন্য দেশে খেলার পরিকল্পনা আছে, যাঁরা অন্য দেশে খেলতে চান, যাঁরা ইউরোপীয় দলে খেলতে চান, যাঁরা নিজেদের জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন এবং যাঁরা লম্বা সময় ধরে চোটে আক্রান্ত।