বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়ে ফাতির চিৎকার
আমি কী এতটাই খারাপ ছিলাম? গত অক্টোবরে লিগের একটি ম্যাচে বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ তাঁকে তুলে নিলে সতীর্থ এরিক গার্সিয়াকে এ কথা বলছিলেন আনসু ফাতি। চোট কাটিয়ে চলতি মৌসুমে ফেরার পর সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিল না এই স্প্যানিশ ফুটবলারের। তবে সবকিছুই বদলে গেছে লুইস এনরিকে কাতার বিশ্বকাপের জন্য স্পেন দল ঘোষণার পর।
গত শুক্রবার কাতার বিশ্বকাপের জন্য ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ। লুইস এনরিকের সে দলে থিয়াগো আলকানতারা, সের্হিও রামোস উপেক্ষিত থাকলেও দলে আছেন তরুণ ফাতি। ফাতির প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন ছিল না কখনোই, তবে প্রশ্ন তাঁর ফিটনেস নিয়ে।
চোটের কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে স্পেনের হয়ে আর মাঠেই নামতে পারেননি তিনি। একসময় একের পর এক হ্যামেস্ট্রিং এবং ঊরুর চোটে ভুগতে থাকেন স্পেনের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করা এই ফুটবলার। ফাতি শেষবার পুরো ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ২০টি ম্যাচে খেলেছেন ফাতি। তবে কোচ জাভি তাঁকে শুরুর একাদশে রেখেছেন মাত্র তিন ম্যাচে। কারণ, সেই চোটের শঙ্কা। এরপরও তরুণ এই ফুটবলারের প্রতি ভরসা রেখেছেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে ফাতির উচ্ছ্বাসটাও তাই একটু বেশি। উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবারও।
সে উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন ফাতির বাবা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কোপেকে ফাতির বাবা বরিস ফাতি বলেন, ‘ফাতি দলে থাকবে কি না, তা ভেবে দল ঘোষণার আগের দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমরা কিছুই জানতাম না। ফাতি অনুশীলন ক্যাম্পে ছিল, ও আমাদের ফোন করে চিৎকার করছিল। সৃষ্টিকর্তা মহান। ও খুবই খুশি ছিল। ফাতি ওর কষ্টের পুরস্কার পেয়েছে , যা আমরা ভাবতে পারিনি।’
ফাতির বাবার দাবি, তরুণ ফাতি বিশ্বকাপ খেলার জন্য পুরোটাই ফিট, ‘চোটের কথা ফাতি ভুলেই গেছে। বার্সেলোনায় পুরোদমে খেলছে। আর ও ভালো করেই জানে ফিটনেস কেমন, এখন কী করতে হবে।’
বিশ্বকাপে স্পেনের প্রথম ম্যাচ কোস্টারিকার বিপক্ষে, ২৩ নভেম্বর।