মেসির জার্সি অবমাননা বিতর্কে মুখ খুললেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারও

আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসিছবি: রয়টার্স

বিতর্ক এখনো থামেনি। বরং মেক্সিকান বক্সার ক্যানেলো আলভারেজের টুইটের পর টুইটে বিতর্ক উসকে যাচ্ছে। মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের পর মেক্সিকোর জার্সি ও জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। কার বিরুদ্ধে? লিওনেল মেসি!

ড্রেসিংরুমে পায়ের বুট খোলার সময় নাকি মেক্সিকোর জার্সি ও জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছেন মেসি। আলভারেজ এ অভিযোগ তোলার পর মেসির পক্ষে দাঁড়িয়ে জবাব দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার সের্হিও আগুয়েরো। আলভারেজ সেই জবাবের পাল্টা উত্তরও দিয়েছেন।

কিন্তু এ নিয়ে তাঁর থামাথামির কোনো নাম নেই। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই সম্ভবত মুখ খুললেন ব্রাজিলের সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফেলিপে মেলো। আগুয়েরোর মতো মেলোরও এক কথা—‘আলভারেজ ফুটবলের কিছু বোঝে না।’

আরও পড়ুন

লুসাইলে গত শনিবার মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা টিকিয়ে রাখে আর্জেন্টিনা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা মেসিদের ড্রেসিংরুমে জয় উদ্‌যাপনের ভিডিও প্রকাশ করে।

ড্রেসিংরুমে গানে মেতে উঠেছিল আর্জেন্টিনা দল। মেসি তখন নিজ জায়গায় বসে বুট খুলছিলেন। বুট খোলার একপর্যায়ে সামনে পড়ে থাকা মেক্সিকোর জার্সি পায়ের টোকায় পাশে সরিয়ে রাখেন আর্জেন্টাইন তারকা। ভিডিওটি দেখে প্রতিপক্ষ দলের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার মতো কিছু মনে হয়নি। স্রেফ কাজের সময় সুবিধার্থে পাশেই পড়ে থাকা অন্য কিছু যেভাবে সরিয়ে রাখা হয়, মেসিও সেভাবেই পা দিয়ে জার্সিটি সরিয়ে রাখেন।

আলভারেজ এরপর কয়েকটি টুইটে মেসির সমালোচনা করেন, ‘আমাদের জার্সি ও জাতীয় পতাকা দিয়ে মেসির মেঝে পরিষ্কার করা সবাই দেখেছেন?’ আরেকটি টুইটে লিখেছেন, ‘আমার সামনে যেন তাকে (মেসি) পড়তে না হয়, সে জন্য তার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা উচিত।’ এ ছাড়াও ছাপার অযোগ্য ভাষাতেও কিছু টুইট করেন ‘পাউন্ড ফর পাউন্ড’ লড়াইয়ে বর্তমান মুষ্টিযোদ্ধাদের মধ্যে গত মে মাসেও বিশ্বসেরা হয় ক্যানেলো আলভারেজ।

আরও পড়ুন

আগুয়েরো দীর্ঘদিন মেসির সঙ্গে খেলেছেন। তিনি চুপ করে থাকবেন কেন! আলভারেজের টুইটেই জবাবটা দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক এই স্ট্রাইকার, ‘নিশ্চিত করেই আপনি ফুটবল খেলা বোঝেন না, ড্রেসিংরুমের সংস্কৃতিটা বোঝেন না। সেখানে কী হয়, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই আপনার।’ আগুয়েরো মনে করেন, মেক্সিকান বক্সার অজুহাত খুঁজছেন, ‘খেলা শেষে সব সময়ই ড্রেসিংরুমের মেঝেতে জার্সিগুলো স্তূপ করে রাখা হয়। জার্সি থেকে ঘাম ঝরানোর জন্যই এমনটা করা হয়। সেদিনও তেমনই ছিল, বুট খুলতে গিয়ে মেসির পা দুর্ঘটনাবশত সেখানে লেগে যায়।’

কিন্তু আলভারেজ এতেও দমে যাননি। আগুয়েরোর টুইট রিটুইট করে পাল্টা জবাব দেন আলভারেজ। কিন্তু তা ছাপার অযোগ্য ভাষায়। আলভারেজের এই বাড়াবাড়ি দেখে ব্রাজিলের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপে খেলা সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফেলিপে মেলোও চুপ থাকতে পারেননি।

ফ্লুমিন্সেতে খেলা ৩৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার টিএনটি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘বক্সিং পছন্দ করায় ক্যানেলোকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু সে ফুটবলের কিছু বোঝে না, তাই চুপ থাকা উচিত। সম্মান দেওয়ায় মেসির চেয়ে ভালো কেউ নেই, কোনো দলেই নেই। তার বিপক্ষে অনেকবারই খেলেছি, প্রতিবারই তার কাছ থেকে সম্মান পেয়েছি। যে লোক মুখ খুলে আজেবাজে কথা বলে, তার (মেসি) সেসব কথার উত্তর দেওয়ার দরকার নেই।’

আরও পড়ুন