হলান্ড সম্পর্কে এ তথ্যগুলো কি জানেন
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটি—শহর আর ক্লাবটাই শুধু বদলেছে। আর্লিং হলান্ড একই রকম আছেন। গোল, হলান্ড বলতে ফুটবলপ্রেমীরা যা বোঝেন, সেটা তিনি করেই যাচ্ছেন! ম্যান সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ অভিষেকেই পেয়েছেন জোড়া গোল। এরপর নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারকে নিয়ে আবার আলোচনার ঝড় উঠেছে। গোল মেশিন হয়ে ওঠা হলান্ডকে ডর্টমুন্ড থেকেই বেশি চেনে মানুষ। এর বাইরেও হলান্ড সম্পর্কে অনেক কিছু জানার আছে। হলান্ডকে নিয়ে তেমনই কিছু মজার বিষয়—
লিডসে জন্ম, খেলতে পারতেন ইংল্যান্ডের হয়েও
১৯৯৩ থেকে ২০০৩—এ সময়ে ইংল্যান্ডের ফুটবলে খেলেছেন আর্লিং হলান্ডের বাবা আলফি হলান্ড। নটিংহাম ফরেস্ট, লিডস ইউনাইটেডের পর সর্বশেষ তিনি খেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে থাকার সময়ই জন্ম হয় তাঁর ছেলে আর্লিংয়ের। আর্লিং হলান্ড চাইলে জন্মসূত্রে ইংল্যান্ড দলে খেলতে পারতেন। কিন্তু বাবা আলফির মতো তিনিও জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছেন নরওয়েকে।
সিটির সমর্থক হিসেবে বেড়ে ওঠা
পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে জন্ম। স্থানীয় ক্লাব লিডসে তখন তাঁর বাবা খেলতেন। কিন্তু আর্লিং হলান্ড ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন ম্যান সিটির সমর্থক হিসেবে। এবারের গ্রীষ্মে ম্যান সিটির সঙ্গে চুক্তি করার আগে হলান্ড বলেছিলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডে জন্মেছি, সারা জীবন সিটির সমর্থক ছিলাম।’
খেলাধুলা তাঁর জিনগত
শুধু বাবাই নন, হলান্ডের মা–ও ছিলেন একজন অ্যাথলেট। বাবা আলফি ছিলেন ফুটবলার, মা মারিটা ব্রুট হেপ্টাথ্যালেট।
বিশ্ব রেকর্ডের মালিক
ছোটবেলায় হলান্ড অনেক ধরনের খেলাই খেলতেন। তাঁর গড়া একটি বিশ্ব রেকর্ড এখনো অক্ষত আছে। ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি ৫ বছর বয়সে হাই জাম্পে ১.৬৩ মিটার পার করেছিলেন হলান্ড। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত হাই জাম্পে এটা এখনো কেউ ভাঙতে পারেননি।
অন্য খেলায় প্রায় চলেই যাচ্ছিলেন
শৈশবে হলান্ড শুধু যে অ্যাথলেটিকসেই প্রতিভার প্রমাণ রেখেছিলেন, তা নয়। হলান্ডের বাবা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ফুটবল খেলতে শুরু করার আগে ওকে আমরা অ্যাথলেটিকসে নিয়ে যেতাম। কারণ ছিল, ও যেন নিজেকে পরীক্ষা করে নিতে পারে। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত আর্লিং হ্যান্ডবল, অ্যাথলেটিকস এবং ক্রস-কান্ট্রি স্কিইংও খেলত। নরওয়ের হ্যান্ডবল কোচ চেয়েছিলেন, সে হ্যান্ডবল খেলুক।’
ভাগ্যিস তিনি ফুটবল বেছেছিলেন
সিনিয়রদের খেলায় প্রভাব রাখতে খুব বেশি সময় নেননি হলান্ড। নরওয়ের ক্লাব ব্রাইনের রিজার্ভ দলের হয়ে ১৪ ম্যাচে ১৮ গোল করেছিলেন তিনি ১৬তম জন্মদিনের আগেই।
এক ম্যাচে ৯ গোল!
২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে হন্ডুরাসের বিপক্ষে নরওয়ের ১২-০ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে হলান্ড একাই করেছিলেন ৯ গোল। ৯ গোলের মধ্যে মাত্র ১টিই তিনি পেয়েছিলেন পেনাল্টি থেকে। সেই টুর্নামেন্টে আর কোনো ম্যাচে গোল না পাওয়ার পরও গোল্ডেন বুট জেতেন হলান্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগের রেকর্ড
নরওয়ে আর ব্রাইন ও মল্ডের হয়ে দারুণ খেলার পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে রেড বুল সালজবুর্গে নাম লেখান। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন হলান্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা দশম খেলোয়াড় হয়ে যান তিনি। গোল পাওয়ার প্রবাহটা তাঁর চলতেই থাকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম পাঁচটি ম্যাচেই গোল করা চতুর্থ খেলোয়াড় বনে যান হলান্ড।
ঘুমের অদ্ভুত অভ্যাস
ম্যাচসেরা হিসেবে সালজবুর্গে থাকতেই অনেক ম্যাচ বল পেয়েছেন হলান্ড। সেই সময় ঘুমের একটা অদ্ভুত অভ্যাস গড়েছেন তিনি। সে বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘তারা (বলগুলো) আমার সঙ্গে বিছানায় শুয়ে থাকে। তারা সঙ্গে থাকলে আমার ঘুমটা ভালো হয়। আমি প্রতিদিনই ওদের দেখি। ফুটবলের সবচেয়ে ভালো বিষয় গোল করা।’
গানও করেছেন
২০১৬ সালে তিনি, নরওয়ের যুব দলের সদস্য এরিক বোথিম ও এরিক টোবিয়াস স্যান্ডবার্গ মিলে গান প্রকাশ করেছেন। ‘কিগো জো’ শিরোনামের ওই গানের পর অবশ্য আর কোনো গান প্রকাশ করেননি তাঁরা।