মেসির সঙ্গে বড়দিন কাটাতে আর্জেন্টিনায় সুয়ারেজ
বিশ্বকাপটা দারুণ সময়ে শেষ হয়েছে। সামনেই বড়দিন। লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টাইনদের জন্য বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ আর বড়দিনের আনন্দ মিলেমিশে একাকার। গত রোববার রাত থেকেই উৎসব চলছে আর্জেন্টিনায়।
সেই উৎসব ভিন্নমাত্রা পাবে বড়দিনের দিন। বিশ্বকাপ জয়ের টানা উদ্যাপন শেষে আর্জেন্টাইন ফুটবলাররাও যে যার বাড়ি পৌঁছেছেন। মেসি এখন তাঁর জন্মস্থান রোজারিওতে।
মেসির বড়দিনের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রোজারিও পৌঁছেছেন লুইস সুয়ারেজ। সেই বার্সেলোনাতে একসঙ্গে খেলার সময় থেকেই বন্ধুত্ব। সেটি যে এখন অন্য পর্যায়ের তার প্রমাণ মেসির সঙ্গে বড়দিন পালন করতে সুয়ারেজের আর্জেন্টিনা আসা। তিনি একা আসেননি, উরুগুইয়ান তারকার সঙ্গে আছে তাঁর পরিবারও।
বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার পর প্রায় ৫০ লাখ মানুষ রাজধানী বুয়েনস এইরেসে সংবর্ধনা দিয়েছে আর্জেন্টিনা দলকে। মানুষের বিপুল ভিড়ে মেসিদের বহনকারী ছাদখোলা বাসের পথ হারিয়ে ফেলার দশা হয়েছিল। লোক সমাগম এতটাই ছিল যে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের পরে হেলিকপ্টারে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। মেসি এর পরপরই পৌঁছে গেছেন রোজারিওতে।
রোজারিওর কেন্টাকি কান্ট্রি ক্লাবে মেসির আবাস। সেখানে বড়দিনের পার্টিটা দারুণ জমবে এবার। আর্জেন্টিনার স্থানীয় পত্রপত্রিকার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মেসির সঙ্গে এবার শুধু সুয়ারেজই বড়দিন উদ্যাপন করবেন না, থাকবেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকাও।
এই দলে শোনা যাচ্ছে বার্সেলোনায় মেসির আরেক সাবেক সতীর্থ, বর্তমানে জাপানের ক্লাব ভেসেল কোবেতে খেলা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা সের্হিও আগুয়েরোর নাম।
বৃহস্পতিবার নিজের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে উরুগুয়ের মন্টেভিডিও থেকে রোজারিও পৌঁছেন সুয়ারেজ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সোফিয়া বালবি ও তাঁদের দুই সন্তান। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বার্সেলোনাতেই।
মেসির ক্লাব ছাড়ার আগের মৌসুমেই বার্সেলোনা ছেড়ে দিয়েছিল সুয়ারেজকে। এরপর তিনি যোগ দেন আতলেতিকো মাদ্রিদে। ২০২০ থেকে আতলেতিকোতে খেলে এ বছরই যোগ দিয়েছে উরুগুইয়ান লিগের দল ন্যাসিওনালে।
এই ক্লাবের হয়ে এখনো পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপে উরুগুয়ে এবার ভালো করেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র আর পর্তুগালের কাছে হেরেছে তারা। শেষ ম্যাচে ঘানাকে ২-০ গোলে হারালেও গোল গড়ে পরের রাউন্ডে ওঠা হয়নি তাদের।