৩০ আগস্ট শেষ হয়েছে দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা। দল গুছিয়ে ক্লাবগুলো এখন মনোযোগ দিয়েছে নতুন মৌসুমে। এরই মধ্যে লা লিগা প্রকাশ করেছে নিজেদের স্যালারি ক্যাপ বা বেতনসীমাও। বেতনসীমা হলো মৌসুমজুড়ে একটি ক্লাব সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ করতে পারবে, সেটা ঠিক করে দেওয়া। সাধারণত একটি ক্লাবের আয়-ব্যয় এবং অর্থনৈতিক শক্তির ওপর ভিত্তি করে এই বেতনসীমা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।ক্লাবগুলোর অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে মূলত এই বিষয়টি আরোপ করা হয়।
তবে অনেক সমালোচক মনে করেন, এর মধ্যে প্রতিযোগিতাকে সীমিত করে ফেলার একটা চেষ্টাও থাকে। বেতনের এই সীমা মূল দল, একাডেমি পর্যায়ের সব খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফের ওপরই মূলত আরোপ করা হয়। পাশাপাশি গ্রীষ্মে নিজেদের দলবদলের কার্যক্রম পরিচালনার সময়েও ক্লাবগুলোকে বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকতে হয়।
এ মৌসুমের শুরুতে যেমন নিয়ম মানতে গিয়ে বার্সেলোনাকে ‘ফিন্যান্সিয়াল লিভার’ চালু করতে হয়েছিল এবং তারা শুরুর দিকে বেতনের সীমাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে দানি অলমোকে নিবন্ধনও করাতে পারেনি। এরপরও কাতালান এই ক্লাবই অবশ্য এ মৌসুমের বেতনসীমার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। যদিও তাদের এখনো কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে।
বেতনসীমার দিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদ যে সবার ওপরে থাকবে, তা বিস্মিত হওয়ার মতো কিছু নয়। তাদের বেতনসীমা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে প্রায় ৩৩ কোটি ইউরো বেশি। যদিও গত মৌসুমের সঙ্গে তুলনা করলে রিয়ালের বেতনের সীমা খুব বেশি বাড়েনি। গত মৌসুমের ৭২ কোটি ৭০ লাখ থেকে সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৭৫ কোটি ৫০ লাখ। অন্যদিকে বার্সেলোনার বেতনসীমা আগের মৌসুম থেকে ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। ২৭ কোটি থেকে যা এখন ৪২ কোটি ৬০ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩১ কোটি ১০ লাখ ইউরোর বেতনসীমা নিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ আছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। আতলেতিকোর চেয়ে বেশ পিছিয়ে ১৬ কোটি ইউরো নিয়ে চারে আছে রিয়াল সোসিয়েদাদ। তবে সবার যে বেড়েছে এমন নয়। ভিয়ারিয়াল যেমন ১৪ কোটি ৪০ লাখ ইউরো থেকে কমে ১৩ কোটি ৬০ লাখে নেমে এসেছে।
তবে সবচেয়ে বড় আশ্চর্য পতন দেখা গেছে সেভিয়ার বেতনসীমায়। নানা সমস্যায় জর্জরিত ক্লাবটির বেতনসীমা ১৬ কোটি ৯০ লাখ ইউরো থেকে নেমে এখন ২০ লাখ ৫০ হাজার ইউরো হয়েছে, যা তাদের বেতনসীমার তালিকায় তলানিতে নিয়ে গেছে।