পিএসজিতে ‘হারানো ভাই’ খুঁজে পেয়েছেন মেসি
দ্বৈরথ, উত্তাপ, রোমাঞ্চ—ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কথা বললে সবার আগে এই শব্দগুলোই যেন ঘুরেফিরে আসে। এই দুই দলের খেলায় পৃথিবী দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। দুই দলের ম্যাচ ঘিরে মারামারি, হাতাহাতি থেকে শুরু করে খুনোখুনি পর্যন্তও হতে পারে।
তবে দুই দেশের দুই সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ও নেইমারের ভাবনাটা ভিন্ন। সমর্থকেরা যতই নিজেদের মধ্যে মারামারি-হানাহানি করুন, মেসি-নেইমার কিন্তু একে অন্যকে ভাবেন ভাই ও বন্ধু।
বার্সেলোনায় প্রথম জুটি গড়েন মেসি-নেইমার। অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের দাপট প্রতিষ্ঠা করেন তাঁরা। ২০১৭ সালে নেইমার বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে চলে গেলে ভেঙে যায় সে জুটি। তবে মাঠের জুটি ভেঙে গেলেও ফাটল ধরেনি মাঠের বাইরের সম্পর্কে।
সেই বন্ধুত্ব এখন আরও পোক্ত হয়েছে মেসি পিএসজিতে আসার পর। এর আগে মেসির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নেইমার একবার বলেছিলেন, তাঁরা বন্ধু ও ভাইয়ের মতো। আর মেসি পিএসজিতে এসে তাঁর সেই হারানো ‘ভাই’কেই যেন খুঁজে পেয়েছেন!
নেইমারের সঙ্গে নিজের সম্পর্কে নিয়ে বলতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘নেইমার ও আমি একে অপরকে হৃদয় দিয়ে জানি। বার্সেলোনায় আমরা একসঙ্গে সময়টা খুব উপভোগ করেছি। তার সঙ্গে বার্সায় সময়টা আরও লম্বা হলে ভালো লাগত।’
মেসি বার্সায় থাকতে নেইমারকে ক্যাম্প ন্যুতে ফেরাতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে নেইমারের বার্সায় ফেরা না হলেও মেসি ঠিকই পিএসজিতে চলে যান। যেখানে দুজন বেশ সুখে আছেন বলেই জানালেন মেসি, ‘আমরা প্যারিসে আবার একত্র হয়েছি। একসঙ্গে আমরা বেশ আনন্দে আছি। তাঁর সঙ্গে খেলতে ও দিন কাটাতে আমি ভালোবাসি।’
পিএসজিতে নেইমারের বন্ধুত্বের সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো সতীর্থও পেয়েছেন মেসি। নেইমার-এমবাপ্পের সম্পর্কে ফাটল ধরার গুঞ্জন বের হলেও তার প্রভাব পড়েনি মেসির ওপর।
ফরাসি তারকাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মেসি, ‘কিলিয়ান (এমবাপ্পে) ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়, সে একজন দানব, যে কিনা ওয়ান অন ওয়ানে খুবই শক্তিশালী। সে জায়গামতো পৌঁছাতে পারে এবং খুবই দ্রুতগতির খেলোয়াড়। পাশপাশি প্রচুর গোলও করতে পারে। এমবাপ্পে একজন পূর্ণ খেলোয়াড়। কয়েক বছর ধরে এটা প্রমাণ করেছে এবং সামনের দিনগুলোতেও করবে। সে সেরাদের একজন।’