লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ জেতার পর নতুন করে সামনে এসেছে সর্বকালের সেরার বিতর্কটি। কারও কারও মতে, বিশ্বকাপ জিতে সবার ওপরে উঠেছেন মেসি। কেউ কেউ আবার সর্বকালের সেরার মর্যাদা আলাদাভাবে কাউকে দিতে নারাজ। অনেকে পেলে, ম্যারাডোনা ও মেসিকে রাখতে চান একই সমতলে।
জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউস অবশ্য এই বিতর্কে না গিয়ে বলেছেন, মেসি এই সহস্রাব্দের সেরা খেলোয়াড়। এ সময় ম্যারাডোনার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়েও কথা বলেছেন এই জার্মান কিংবদন্তি।
গত রোববার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে নতুন এক ইতিহাস লিখেছেন মেসি। বিশ্বকাপ জিতে ঘুচিয়েছেন নিজের অপূর্ণতাও। মেসির এই কৃতিত্ব নিয়ে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী তারকা ম্যাথাউস বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে মেসি এই সহস্রাব্দের সেরা। খেলার ইতিহাসেও সে আমাদের দেখা সেরা খেলোয়াড়। যদি অমরত্ব পাওয়ার জন্য কোনো কিছুর তার অভাব থাকে, তবে সে ইতিমধ্যে সেটা পেয়ে গেছে।’
মেসির প্রশংসায় এটুকুতেই থেমে যাননি ম্যাথাউস। তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘কী দারুণ খেলোয়াড়, কী দারুণ এক মহাতারকা, ৩৫ বছর বয়সে সে যেভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ট্রফি এনে দিয়েছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দারুণ টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনা সেরা দল এবং এটা আর্জেন্টিনার প্রাপ্য। আর তাদের মেসিও আছে। আমি নিশ্চিত নই, এটা তার শেষ বিশ্বকাপ কি না।’
ম্যারাডোনার সঙ্গে ম্যাথাউসের দ্বৈরথটা ছিল ঐতিহাসিক। ’৮৬–তে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ম্যাথাউস কাঁদলেও, ’৯০ বিশ্বকাপে সেই ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছেন এই জার্মান কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে ম্যাথাউস বলেছেন, ‘তার সঙ্গে খেলা ছিল দারুণ সম্মানের ব্যাপার। কারণ, সে ছিল সেরা একজন খেলোয়াড়। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও। সে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। এটা খুবই বেদনার যে সে আজ এখানে উপস্থিত নেই। তবে ডিয়েগো সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবে।’