তিন তরুণে মুগ্ধ কাবরেরা
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রাথমিক দল গতকালই ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ জনের দলে তিন নতুন নাম নজর কেড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। আজ বাফুফে ভবনে দল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে শুরুতেই তাঁর তিন তরুণ ফুটবলারকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কৌতূহল মেটাতে হলো। তিন তরুণ সৈয়দ কাজেম শাহ, রাব্বি হোসেন ও তাজউদ্দিনকে দলে নিয়েছেন একধরনের মুগ্ধতা থেকেই—কাবরেরা জানালেন এমনটাই। কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে নিজেদের ক্লাবের হয়ে এ তিনজনের পারফরম্যান্সই মুগ্ধতা জাগানোর মতো। কোচ মনে করেন, জাতীয় দলের অনুশীলনে থাকাটা তিন তরুণেরই প্রাপ্য।
কাজেম শাহ—কানাডায় বেড়ে ওঠা ফুটবলার। সেখানেই ফুটবলের পাঠ নিয়েছেন, দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেই দেশের ফুটবলে নাম লিখিয়েছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশ এফসির হয়ে এই মিডফিল্ডার এ নিয়ে দুটি মৌসুম চমৎকার খেলেছেন। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে নজর কেড়েছেন। কাবরেরা জানালেন, ‘তার খেলার ধরন দেখে আমি মুগ্ধ। কাজেমের ওপর নজর রাখছিলাম অনেক দিন আগে থেকেই। নভেম্বরেই তাকে প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাকতাম। কিন্তু তখন সে চোটে পড়ে যায়। তাই নিতে পারিনি। আমি যে দর্শনে ফুটবল খেলাই, তার সঙ্গে কাজেম বেশ মানানসই। এবার প্রাথমিক দলে থাকাটা তার জন্য বড় সুযোগ। তবে সে তরুণ, তাকে নিয়ে আমরা খুব ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেব। আশা করি, কাজেম ভালো করবে।’
ব্রাদার্স ইউনিয়নের রাব্বি হোসেন নিজেকে গোলমেশিন হিসেবেই লিগে প্রমাণ করেছেন। ৫ গোলের চারটিই টানা চার ম্যাচে করা। উদীয়মান এই ফুটবলার তাঁর এই পারফরম্যান্সেই নজর কেড়েছেন কাবরেরার, ‘সত্যি কথা বলতে কি, শুরুতে সে আমাদের ভাবনায় ছিল না। কিন্তু গত কয়েক ম্যাচে সে দারুণ খেলেছে। লিগে দেশি ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড়দের একজন রাব্বি। জাতীয় দলের আবহে থাকাটা তাঁর প্রাপ্য। এখন দেখা যাক, সে কেমন করতে পারে।’
কাজেম কিংবা রাব্বির চেয়েও জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে চমক বলা যায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের রাইট ব্যাক তাজউদ্দিন। তিনি আবার জাতীয় দলের আরেক ডিফেন্ডার সাদউদ্দিনের ছোট ভাই। তাজউদ্দিনকে কেন ডেকেছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কাবরেরা, ‘শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে শেষ তিন ম্যাচে যদিও সে খুব বেশি সময় খেলেনি, কিন্তু তাজউদ্দিন নিজের মান ও সামর্থ্য আগেই দেখিয়েছে। আশা করি, সে মানিয়ে নিতে পারবে দলের সঙ্গে।’