নেইমারকে কেন ফোন করেছেন গার্দিওলা
পিএসজিতে নেইমারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। চাইলে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়াতে পারেন। কিন্তু অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, তাতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মৌসুম শেষে সম্ভবত ফরাসি ক্লাবটিতে থাকবেন না কিংবা থাকতে যে চান না, সেটা মোটামুটি পরিষ্কার। পিএসজির এবার লিগ জয়ের উৎসবেও ছিলেন না নেইমার।
চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা পারিসিয়ান জানিয়েছিল, পিএসজি ছাড়ার ইচ্ছার কথা ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন নেইমার। এরপরই গুঞ্জন ওঠে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও চেলসি তাঁকে কিনতে আগ্রহী। এমনকি তাঁকে কেনা নিয়ে কথা বলেছিলেন ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগও। তবে এবার সামনে এসেছে আরেকটি চমক জাগানো খবর। নেইমারকে নাকি ফোন করেছেন পেপ গার্দিওলাও!
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম লেকিপ জানিয়েছে, ম্যানচেস্টার সিটির কোচ গার্দিওলা ফোন করেছিলেন নেইমারকে। এ মুহূর্তে ব্রাজিল তারকা কী ভাবছেন, আগামী মৌসুমের জন্য কী পরিকল্পনা—এসব বুঝতেই ফোন করেছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ। তবে সংবাদমাধ্যমটি এটাও জানিয়েছে, নেইমারের সিটিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
আপাতত অ্যাঙ্কেলের চোট থেকে সেরে ওঠার পথে আছেন নেইমার। এ মৌসুম শেষে ফিরবেন পূর্ণ অনুশীলনে। এ বছর নেইমার অর্ধেক মৌসুম খেলে লিগ আঁতে ১৩ গোল করেছেন। ম্যাচ খেলেছেন ২০টি। নেইমারকে কেনার আগ্রহ না থাকলে তাঁকে গার্দিওলা ফোন কেন দিলেন, তা নিয়ে অবশ্য নানা জল্পনাকল্পনাও চলছে।
গত শনিবার স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন না নেইমার। পিএসজির রেকর্ড গড়া ১১তম লিগ জয়ের উৎসবে দলের চোটগ্রস্ত সব খেলোয়াড়ই ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন শুধু নেইমার। তবে লেকিপ জানিয়েছে, পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের লিগ জয়ের উৎসবে নেইমারের অনুপস্থিত থাকা নিয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাননি। গালতিয়ের বলেছেন, ‘নেইমারের হয়তো কোনো সমস্যা ছিল। সে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শেষ অনুশীলনে দলের সঙ্গে ছিল। দয়া করে এসব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবেন না। হুগো একিতিকেও দলের সঙ্গে যেতে পারেনি শারীরিক সমস্যার কারণে।’
লেকিপ আরও জানিয়েছে, নেইমারের ফর্মুলা ওয়ান দেখতে যাওয়া নিয়ে পিএসজি কর্তৃপক্ষও খুব একটা চিন্তিত নয়। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উৎসবে যোগ না দেওয়ায় তাদের কোনো সমস্যা নেই। চোটগ্রস্ত খেলোয়াড়দের স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতাও পিএসজির পক্ষ থেকে ছিল না।
পিএসজি অবশ্য পরিস্থিতি যতই স্বাভাবিক রাখতে চাক, পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক নয়, তা সাম্প্রতিক সময়ের খবরগুলোর দিকে তাকালেই পাওয়া যাবে। কয়েক দিন আগে কট্টরপন্থী পিএসজি–সমর্থকেরা নেইমারের বিদায় চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন। পিএসজিতে এসব কাণ্ডে বিরক্ত নেইমার নাকি ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত নেইমারের ভবিষ্যৎ কোথায় নির্ধারিত হয়, তা জানতে আরও কিছু সময় ধৈর্য ধরতে হবে।