অস্ট্রিয়া ৩: ২ নেদারল্যান্ডস
ফ্রান্স ১: ১ পোল্যান্ড
দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রিয়া। দুইবারই সমতা ফেরাল নেদারল্যান্ডস। তারপর অস্ট্রিয়া করল তৃতীয় গোলটাও। সেই গোল আর শোধ দিতে পারল না ডাচরা। হেরে গেলে ৩-২ ব্যবধানে।
দুর্দান্ত এই জয়ে ইউরোর ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সেরা দল হয়েই শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল অস্ট্রিয়া। ৩ ম্যাচ থেকে ২ জয় ও ১ হারে অস্ট্রিয়ার পয়েন্ট ৬।
একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে ফ্রান্স ১-১ ড্র করেছে পোল্যান্ডের সঙ্গে। ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রিয়ার সঙ্গী হয়ে শেষ ষোলোয় উঠে গেছে ফ্রান্সও। ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট পাওয়া নেদারল্যান্ডস অবশ্য বাদ হয়ে যায়নি। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ মিলিয়ে মোট ১২ দলের সঙ্গে তৃতীয় হওয়া সেরা চারটি দলও যাবে শেষ ষোলোতে। এখন পর্যন্ত তৃতীয় হওয়া দলগুলোর মধ্যে ডাচদের পয়েন্টই সবচেয়ে বেশি। সুতরাং বড় কোনো উলট-পালট না হলে নেদারল্যান্ডসও যাচ্ছে শেষ ষোলোতে। এই গ্রুপ থেকে পোল্যান্ডের শেষ ষোলোর আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অস্ট্রিয়া এগিয়ে যায় ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটেই। অস্ট্রিয়ার আক্রমন বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন ডাচ ফরোয়ার্ড ডনিয়েল মালেন।
সেই গোল শোধ করতে ডাচদের অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। ৪৭ মিনিটে জাভি সিমন্সের পাস থেকে ১-১ করেন কোডি গাকপো। জাতীয় দলের হয়ে যেটি তাঁর ১১ নম্বর গোল।
তবে নেদারল্যান্ডসের এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১২ মিনিট পরেই আবার এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। এবার ফ্লোরিয়াল গ্রিলিশের পাস থেকে গোল করেন রোমানো স্মিড। নেদারল্যান্ডস দ্বিতীয়বার সমতা ফেরায় ৭৫ মিনিটে, বক্সের ভেতর থেকে মেম্ফিস ডিপাইয়ের দারুণ ফিনিশিংয়ে ২-২। শুরুতে অবশ্য রেফারি হ্যান্ডবল ধরেছিলেন, তবে ভিএআর দেখে গোলের সিদ্ধান্ত দেন। ডাচ গ্যালারিতে স্বস্তি ফেরে আবার।
কিন্তু নাটক যে তখনও বাকি। ৮০ মিনিটে ক্রিস্টফ বামগার্টনারের দারুণ পাস থেকে অস্ট্রিয়াকে আবার এগিয়ে দেন মার্সেল সাবিৎজার। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি রোনাল্ড কোমানের দল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম জয়ে পেল অস্ট্রিয়া।
ডর্টমুন্ডে রাতের অন্য ম্যাচ দিয়ে অবশেষে ইউরোতে গোলের অপেক্ষা ফুরিয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের। পোল্যান্ডের বিপক্ষে আজ ফরাসি ফরোয়ার্ডের গোলটা এসেছে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে, পেনাল্টি থেকে। সর্বশেষ ইউরোতে চারটি, এবারের ইউরোতে এ নিয়ে দুটি, মোট ছয় ম্যাচে এটাই এমবাপ্পের প্রথম গোল।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই নাকে আঘাত পাওয়া এমবাপ্পে আজ খেলতে নেমেছিলেন মাস্ক পরে। তবে ফ্রান্সকে ঠিক সেরা রূপে দেখা যায়নি এই ম্যাচেও। ৭৯ মিনিটে পাল্টা পেনাল্টি পেয়ে গোল শোধ করে দেয় পোল্যান্ড। রবার্ট লেভানডফস্কির নেওয়া শটটা অবশ্য ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইনন। তবে শট নেওয়ার আগেই তিনি গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় আবার শট নেওয়ার সুযোগ পান লেভা। এবার আর ভুল করেননি পোলিশ স্ট্রাইকার। এরপর আর গোল করতে না পারায় গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফ্রান্সকে।