২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সিরি ‘আ’-তে ১৫ পয়েন্ট ফিরে পেল জুভেন্টাস

দুঃসংবাদ নাকি একা আসে না। একের পর এক আসতেই থাকে। এ বছর জানুয়ারির শেষ দিকে এমনই হয়েছিল জুভেন্টাসের সঙ্গে। দলবদল নিয়ে মিথ্যাচারের দায়ে সিরি ‘আ’-তে ১৫ পয়েন্ট জরিমানা, তারপর মাঠে খেলতে নেমে আবার পয়েন্ট হারানো, কী বাজে সময়ই না গেছে তখন তুরিনের বুড়িদের।

আচ্ছা, সুসংবাদও কি এ রকম দল বেঁধে আসে? জুভেন্টাসের সঙ্গে এবার কিন্তু তাই হলো। গত রাতে স্পোর্টিং লিসবনের সঙ্গে ১-১ ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে জিতে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই জুভেন্টাস পেয়েছিল আরও একটি সুখবর। সিরি ‘আ’-তে জুভেন্টাসের যে ১৫ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছিল, আদালত ফেরত দিয়েছেন সেটা। ৪৪ থেকে তাই ৫৯ হয়ে গেছে জুভেন্টাসের পয়েন্ট, একলাফে লিগে সাত নম্বর থেকে তিন নম্বরে চলে এসেছে মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল।


দলবদলবিষয়ক আর্থিক বিবরণীতে অনিয়মের দায়ে গত জানুয়ারিতে সিরি ‘আ’-তে জুভেন্টাসের ১৫ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়। ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের স্পোর্টিং ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ে তখন সিরি ‘আ’ পয়েন্ট তালিকায় ৩ থেকে ১০ নম্বরে নেমে গিয়েছিল জুভেন্টাস। এ ছাড়া ক্লাবটির বর্তমান ও সাবেক পরিচালকদের কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

স্পোর্টিং লিসবনের বিপক্ষে গোলের পর জুভেন্টাস খেলোয়াড়দের উদযাপন
জুভেন্টাস টুইটার


ওই রায়ের বিরুদ্ধে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের স্পোর্টিং ট্রাইব্যুনালের আপিল বিভাগে আবেদন করে জুভেন্টাস। সেই আপিলের রায়েই বলা হয়েছে, আপাতত জুভেন্টাসের ১৫ পয়েন্ট ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের পর চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। সেই তদন্ত শেষ হতে কয়েক মাস লাগতে পারে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, চূড়ান্ত রায়ে যদি জুভেন্টাস দোষীও প্রমাণিত হয়, তাহলে সেই শাস্তিটা কার্যকর হবে আগামী মৌসুমে (২০২৩-২৪)।


তবে আপিলে জুভেন্টাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে আগনেল্লি, সাবেক ক্রীড়া পরিচালক ফ্যাবিও পারাতিসিসহ আটজন তাঁদের নিষেধাজ্ঞা তোলার আবেদন করে হেরে গেছেন। অন্যদিকে জুভেন্টাসের সাবেক খেলোয়াড় ও পরিচালক পাভেল নেদভেদ, পাওলো গারিম্বের্তি এবং এনরিকো ভেল্লানোর আপিল গৃহীত হয়েছে। তাঁদের নিষেধাজ্ঞা তোলা যায় কি না, এ বিষয়ে আবার শুনানি হবে।
এ সিদ্ধান্তের পর জুভেন্টাস তিনে উঠে আসায় চার নম্বরে নেমে গেছে রোমা, পাঁচে এসি মিলান, ছয়ে ইন্টার মিলান।