পিএসজিতে বিরক্ত এমবাপ্পে, যেতে পারেন লিভারপুলে
সম্ভাব্য সবকিছু করেই কিলিয়ান এমবাপ্পেকে গত মৌসুমে ধরে রেখেছিল পিএসজি। এমনকি এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়া ঠেকাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁকেও একপর্যায়ে নাকগলাতে হয়েছিল।
তবে মরিয়া হয়ে এই ফরাসি তারকাকে ধরে রাখার সুফল বোধ হয় পাওয়া হচ্ছে না ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। মাঝ মৌসুমেই দুই পক্ষের সম্পর্ক ভেঙে পড়ার গুঞ্জন এখন অনেকটাই সত্যি হওয়ার পথে। তাই জানুয়ারিতেই এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়ার নতুন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়া নিয়ে বোমা ফাটিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। তাদের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ক্লাব ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা। তবে প্যারিসের ক্লাবটিও নাকি এমবাপ্পেকে শর্ত সাপেক্ষে ছাড়তে রাজি হয়েছে।
তাদের দেওয়া শর্তের অন্যতম হচ্ছে, এমবাপ্পের গন্তব্য কোনোভাবেই স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ হতে পারবে না। এর আগে গত গ্রীষ্মের দলবদলে রিয়ালের সঙ্গে এমবাপ্পেকে কেনার দৌড়ে শোনা যাচ্ছিল ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের নামও।
শেষ পর্যন্ত রিয়ালে যেতে না পারলে এ মৌসুমে লিগে ধুঁকতে থাকা অ্যানফিল্ডের ক্লাবটিই এমবাপ্পের গন্তব্য হতে পারে বলেও বলছেন কেউ কেউ।
এর আগে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও এমবাপ্পের ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। ক্লপ সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা অল্পবিস্তর কথা বলেছি, খুব বেশি নয়।’ লিভারপুলের নিজের আগ্রহের ব্যাপারে এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘আমি লিভারপুলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কারণ, এটা আমার মায়ের পছন্দের ক্লাব। আমার মা লিভারপুলকে ভালোবাসে।’
মার্কার দাবি, এমবাপ্পের সঙ্গে পিএসজির সম্পর্ক একরকম ভেঙেই পড়েছে। ২৩ বছর বয়সী এই তারকার দাবি, পিএসজি তাঁকে দেওয়া কোনো কথাই রাখেনি। মাঠেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
মৌসুমের শুরুতে পেনাল্টি নিয়ে নেইমারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন এই ফরাসি তারকা। মাঝে অভিযোগ ওঠে মেসি-নেইমারকে গোলে সহায়তা করতে চান না এমবাপ্পে। সর্বশেষ দলে নিজের ভূমিকা নিয়েও তাঁকে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
রেঁসের বিপক্ষে লিগে সর্বশেষ ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে পিএসজি। সে ম্যাচে মেসি-নেইমারকে ছাড়াই একাদশ সাজান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। ম্যাচে শুরু থেকে মাঠে নেমেও কোনো পার্থক্য গড়তে পারেননি এমবাপ্পে। পরে নেইমার মাঠে নামলেও ফল আর বদলায়নি। ম্যাচের পর পিএসজি কোচ গালতিয়ের বলেছেন, মেসি-নেইমারকে ছাড়া এমবাপ্পেকে ‘অনাথ’ মনে হয়েছে তাঁর কাছে।
সেই ম্যাচের পর নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামকে বেছে নেন এমবাপ্পে। এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পে বলেছিলেন, পিএসজির চেয়ে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় তিনি বেশি স্বাধীনতা পান।
২০২৫ সাল পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর এমবাপ্পের দলবদল নিয়ে সব আলাপে ইতি টেনে দেওয়া হয়েছিল। তবে এক মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই আবার দলবদলের বাজার গরম করছেন এমবাপ্পে। নতুন করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনা এখন কোথায় গিয়ে শেষ হয়, সেটিই দেখার অপেক্ষা।