এটা ঠিক যে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন এই ফুটবল জাদুকর। কিন্তু আর্জেন্টিনাকে মেসি একাই বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন? আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনির কথা—আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপার খরা কেটেছে দলীয় প্রচেষ্টায়।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে দলের সবারই গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। দলের প্রয়োজনে যাঁকেই প্রয়োজন হয়েছে, জ্বলে উঠেছেন দারুণভাবে। মূলত ঐক্যের শক্তিতেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়। বিশ্বকাপের পর পানামা ও কুরাসাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
এই ম্যাচ দুটির পর দলের শক্তি নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও। বলেছেন, এই দলের একজন খেলোয়াড় অন্যজনের জন্য প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দিতে পারেন।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শুরুটা হয়েছিল সৌদি আরবের কাছে হার দিয়ে। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে দ্রুত বদলে যায় দলটি। দলীয় শক্তিতে জ্বলে উঠে একের পর এক সাফল্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
দলটি কতটা ঐক্যবদ্ধ, সেই উদাহরণ দিতে গিয়ে স্কালোনি বলেছেন, ‘কুটি (ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, (নাহুয়েল) মলিনা কিংবা লিসান্দ্রো (মার্তিনেজ) প্রয়োজনে একে অপরের শিরা কাটতে পারবে।’
স্কালোনি এরপর যোগ করেন, ‘তারা একে অপরকে লম্বা সময় ধরে জানে। তারা সারা দিন একসঙ্গে থাকে এবং একজন বড় একটা ভুল করলেও সেটা অন্যদের সমর্থনে ছোট হয়ে যায়। ভুল করা খেলোয়াড়টিকে অন্যরা আশ্বাস দেয় কিংবা বন্ধুত্বের জায়গা থেকে সমস্যার সমাধান করে দেয়। এটা শুনলে মনে হবে ফালতু আলাপ। কিন্তু বিষয়টা মোটেই ফালতু নয়। আমি এটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।’
এ সময় দলের সদস্যদের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক তুলে ধরতে গিয়ে স্কালোনি বলেছেন, ‘তারা (দলের সদস্যরা) লিওকে (মেসি) ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবেই দেখে। তারা মেসির জন্য জীবন দিয়ে দিতে রাজি। এটা ভিন্ন এক রসায়ন তৈরি করে। যেটা ফুটবলের জন্য বড় ব্যাপার, এটা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের প্রতিচ্ছবিও।’
কোচিং স্টাফের সঙ্গে দলের সম্পর্ক কেমন, সে ব্যাখ্যায় স্কালোনি বলেছেন, ‘খুব কাছাকাছি থাকার কারণে সবকিছু আমাদের অনেক বেশি প্রভাবিত করে। ভালো ও খারাপ দুটোই। যদি কারও পারিবারিক সমস্যা থাকে, সেটা আমাদের প্রভাবিত করে।’