এক দল সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত, আরেক দল চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের আগের ম্যাচটিতেই প্রতিপক্ষের জালে ৯ বার বল পাঠিয়েছে।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সেই রিয়াল মাদ্রিদ আর বায়ার্ন মিউনিখই আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে হেরে গেছে। ফরাসি ক্লাব লিলের মাঠে নেমে রিয়াল মাদ্রিদ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার মাঠে বায়ার্নের হারের ব্যবধানও একই।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ রাতের খেলায় হেরেছে আরেক বড় দল আতলেতিকো মাদ্রিদও। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বেনফিকা।
স্তাদ পিয়েরে-মাউরয়ে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে শুরু থেকেই উজ্জীবিত ছিল লিল। চোটের কারণে থিবো কোর্তোয়ার জায়গায় নামা আন্দ্রে লুনিনকে শুরুতেই পরীক্ষায় ফেলেন জনাথন ডেভিড। তবে রিয়াল মাদ্রিদের বড় সর্বনাশটা হয় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা হ্যান্ডবলে জড়ালে পেনাল্টি পায় লিল। যা জোরালো শটে কাজে লাগিয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ডেভিড।
কানাডিয়ান এই ফরোয়ার্ড ফ্রেঞ্চ লিগে দলের আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। দুই দল বিরতিতে যায় ১-০ ব্যবধান নিয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতার কারণে তখনো পর্যন্ত ম্যাচে ভালোমতোই ছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই ব্রাজিলিয়ান এদের মিলিতাও ও এনদ্রিককে তুলে নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লুকা মদরিচকে মাঠে নামান কার্লো আনচেলত্তি। এর মধ্যে মদরিচের সংযোজনে মাঝমাঠে রিয়ালের খেলা কিছুটা গুছিয়েও ওঠে। তবে আক্রমণভাগে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি জুড বেলিংহাম, এমবাপ্পে, আর্দা গুলেররা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা রিয়ালকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।
ভিলা পার্কে বায়ার্ন মিউনিখের হারের যন্ত্রণা অবশ্য আরও বেশিই হওয়ার কথা। ঠিক আগের ম্যাচেই দিনামো জাগরেবকে ৯-২ গোলে উড়িয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে বায়ার্নের রেকর্ডও ভালোই, সর্বশেষ দশ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জয়, দুটিতে ড্র।
কিন্তু সব হিসাব বদলে চার দশক পুরোনো স্মৃতি ফিরে এনেছে ভিলা। ১৯৮২ ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে এই অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরেছিল বায়ার্ন। ব্যবধান ছিল ১-০। ৪২ বছর পর সেই একই ব্যবধানেই হেরেছে জার্মান দলটি।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে মানুয়েল নয়্যারের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে গোলটি করেন জন ডুরান। তবে ভিলার জয়ে বদলি নেমে গোল করা ডুরানের চেয়ে অবদান কম নয় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। এই আর্জেন্টাইন গোলকিপার ম্যাচে মোট ৭টি সেভ করেছেন। এর মধ্যে সার্জ জিনাব্রিকে দুবার আর হ্যারি কেইনকে একবার ‘প্রায় গোল’ থেকে বঞ্চিত করেছেন।
ম্যাচ ডে টু-এর দ্বিতীয় রাতের ফল
লিল ১-০ রিয়াল মাদ্রিদ
অ্যাস্টন ভিলা ১-০ বায়ার্ন মিউনিখ
লিভারপুল ২-০ বোলোনিয়া
বেনফিকা ৪-০ আতলেতিকো মাদ্রিদ
লাইপজিগ ২-৩ জুভেন্টাস
শাখতার ০-৩ আতালান্তা
জিরোনা ২-৩ ফেইনুর্দ
জাগরেব ২-২ মোনাকো
গ্রাজ ০-১ ব্রুগা