আর্সেনালে নাম লিখিয়ে শৈশবের স্বপ্ন পূরণ জিনশেঙ্কোর

ওলেক্সান্দার জিনশেঙ্কোছবি: টুইটার

একের ভেতর তিন বলতে যা বোঝায়, ওলেক্সান্দার জিনশেঙ্কো ঠিক তা-ই। একাধারে তিনি লেফট ব্যাক, লেফট উইং ব্যাক ও আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। প্রতিভাবান এই ইউক্রেনিয়ান খেলোয়াড়কে এবার ছেড়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

তিন কোটি ইউরোতে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে আর্সেনাল। জিনশেঙ্কো অবশ্য আর্সেনালে নাম লেখাতে পেরে খুব খুশি। এমিরেটসের এ ক্লাবে খেলার স্বপ্ন যে তিনি সেই শৈশব থেকেই দেখে এসেছেন।

২৫ বছর বয়সী জিনশেঙ্কো আর্সেনালে থিয়েরি অঁরির খেলা দেখতে দেখতে বড় হয়েছেন। এরপর তিনি দেখেছেন সেস ফাব্রিগাসকে। নিজের পছন্দের এই দুই ফুটবলারকে আর্সেনালে খেলতে দেখেই তাঁরও এমিরেটসের ক্লাবটির হয়ে খেলার স্বপ্ন জেগেছে। অবশেষে অঁরি ও ফাব্রিগাসের মতো তিনিও আর্সেনালে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

আর্সেনালে নাম লিখিয়ে জিনশেঙ্কো বলেছেন, ‘আমি তো এটাই বলব, আমার শৈশবের একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। যখন ছোট ছিলাম, আমি আর্সেনালের বড় ভক্ত ছিলাম। আর্সেনালের ওয়েবসাইটে জিনশেঙ্কো এরপর তাঁর কথার সঙ্গে যোগ করেন, ‘এখানে যখন থিয়েরি অঁরি ও সেস ফাব্রিগাস খেলতেন, আমি আর্সেনালের ম্যাচগুলো উপভোগ করতাম। আহা, সেই আর্সেনাল!’

আর্সেনালে জিনশেঙ্কো অঁরি ও ফাব্রিগাসের মতো কিছু করে দেখাতে চান। দলকে এনে দিতে চান সাফল্য। এখন আর্সেনালের জার্সি গায়ে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনি, ‘অবশ্যই আমি সেই থেকেই (অঁরি ও ফাব্রিগাসের খেলার দিনগুলো থেকে) ক্লাবটিতে ভালোবাসতে শুরু করেছি। সব মিলিয়ে আমি রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আর্সেনালের হয়ে খেলতে নামতে আমার তর সইছে না।’

আর্সেনালে নাম লেখাতে পেরে নিজের আনন্দের কথা বলতে গিয়ে যেন থামতেই চাইছিলেন না জিনশেঙ্কো। তিনি বলে চলেন, ‘এই অনুভূতি অবিশ্বাস্য! সত্যি বলছি, এটা একটা স্বপ্নপূরণ। এমনকি আমি সেই ছোটবেলা থেকেই কল্পনাও করতে পারছিলাম না যে একদিন আর্সেনালের হয়ে খেলতে পারব। কিন্তু এখন সেই সময় এসে গেছে। আমি খুব খুশি।’

জিনশেঙ্কো ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লিখিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। সেখানে তিনি প্রথম দিকে সহকারী কোচ হিসেবে পেয়েছেন আর্সেনালের বর্তমান কোচ মিকেল আরতেতাকে। এ ছাড়া এবারের দলবদলেই সিটি থেকে আর্সেনালে নাম লিখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুসও। জিনশেঙ্কোর আর্সেনালে নাম লেখানোয় এ দুজনের ভূমিকা আছে বলেই মনে করেন অনেকে।

জিনশেঙ্কো নিজেও সেটাই বলেছেন, ‘আমিও বলব, আমার এখানে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ।’ আরতেতার বিষয়ে জিনশেঙ্কো এরপর যোগ করেন, ‘সিটিতে প্রথম দিন থেকেই আমার মনে হয়েছে, তিনি একদিন খুব ভালো কোচ হবেন।’

জেসুসকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত ইউক্রেনের মিডফিল্ডার, ‘সে আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি বলতে চাই, এই আলোচনায় সে–ও যুক্ত ছিল। সে আমাকে আর্সেনাল সম্পর্কে অনেক ভালো কিছু বলেছে। এখানকার পরিবেশ আর মানুষ নিয়েও ভালো কথাই বলেছে সে। তার কথা শুনেই আমি মুগ্ধ হয়েছি এবং রোমাঞ্চিত হয়েছি।’