মেসিকে পিএসজির বার্তা: ‘দলের চেয়ে বড় কেউ নয়’
লিওনেল মেসিকে সৌদি আরব সফরের অনুমতি দেয়নি পিএসজি। কিন্তু সৌদি আরবের পর্যটনদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। চুক্তিকে সম্মান জানাতেই সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন মেসি। কিন্তু ক্লাবের মতের বাইরে হওয়ায় তাঁকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ফ্রেঞ্চ লিগে লরাঁর বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারের পরপরই মেসি চলে যান সৌদি আরব। সেখানে মরুরাষ্ট্র সৌদি আরবের সবুজ প্রকৃতি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্টও দেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় ছবিও দেন। এ সফরের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সোমবারর পিএসজির অনুশীলনও করতে পারেননি। এ ঘটনাকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপ হিসেবেই দেখছে। সে কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মেসিকে। পিএসজি তাঁকে নিষিদ্ধ করে দেখাতে চেয়েছে, কোনো খেলোয়াড়ই ক্লাবের চেয়ে বড় নয়।
সোমবার পিএসজির নির্ধারিত অনুশীলন সেশনে মেসিকে না দেখে বিস্মিত হন তাঁর সতীর্থরাও। তাঁরাও জানতেন না মেসির এই সৌদি সফরের কথা; বিশেষ করে সৌদি আরব সফরের অনুমতি চাওয়ার পরও যখন ক্লাব তাঁকে অনুমতি দেয়নি।
আরএমসি স্পোর্টস জানিয়েছে, পিএসজি সম্প্রতি যে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করেছে, সে অনুযায়ীই মেসিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একজন খেলোয়াড়, তিনি যত বড় তারকাই হন, যত বেশি পারিশ্রমিকই পান, ক্লাবের ঊর্ধ্বে নন—নতুন নীতিমালায় এ ব্যাপারেই গুরুত্ব দিতে চাইছে ক্লাব।
পিএসজি কর্তৃপক্ষ যে মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে না, এ ব্যাপারও মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। ফ্রান্সের ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম লেকিপ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে পিএসজি। যার অর্থ, পিএসজিতে মেসির ক্যারিয়ারের ইতি ঘটতে যাচ্ছে আগামী মাসেই।
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে দুই বছরের চুক্তিতে মেসি পিএসজিতে যোগ দেন। নেইমার আর কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে মেসি যুক্ত হওয়ায় পিএসজিকে ভাবা হচ্ছিল প্রায় অজেয় একটি দল হয়ে উঠবে। কিন্তু ফুটবলপ্রেমীদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে পিএসজি টানা দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে।
মেসির দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী মাসেই। গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল পিএসজি। কিন্তু গত পাঁচ মাসেও নতুন চুক্তি হয়নি। খবরে প্রকাশ, মেসির বেতনের চাহিদার সঙ্গে ক্লাব একমত না হওয়াতেই নতুন চুক্তির বিষয়টি এক জায়গায় আটকে আছে। মেসির ‘বিশ্বকাপজয়ী’ হিসেবে পিএসজির কাছে যে অঙ্কের বেতন চেয়েছেন, সেটি দেওয়া নাকি পিএসজির পক্ষে সম্ভব নয়।