প্রথমবার মঞ্চে উঠেই রীতিমতো চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা শেখ মোরছালিনের। বিশাল হলরুম, সামনে উপস্থিত ৭০০-৮০০ মানুষ আর চারপাশের বাতি বন্ধ হয়ে সবটুকু আলো মঞ্চে তাঁর ওপর।
তবে মঞ্চের ওই আলো নয়, মোরছালিনের চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার কারণ সামনের সারিতে বসা মুখগুলো। এতক্ষণ পেছনের দিকে বসা ছিলেন। বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠে দেখলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল আর ইতিহাস গড়া সব মুখ সামনের সারিগুলোতে বসা। মোরছালিন কথা বলতে গিয়ে টের পেলেন, শরীর কাঁপছে তাঁর।
মোরছালিনের শরীর কেঁপে উঠেছে পরে আরও একবার। গত বছর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে অভিষেক বয়স ১৮ হওয়ার আগেই। আর অভিষেক বছরেই পায়ের ঝলকানিতে দেশের ফুটবলে সতেজ এক হাওয়া বইয়ে দিয়েছেন। সেটা এমনই যে পাঠকের ভোটে সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে ২০২৩ সালের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এই তরুণ। অর্জনটা কত বড়, বোঝার জন্য এই পুরস্কারের পেছনের ছবিতে নজর ফেরাতে হবে।
বিভিন্ন খেলার খ্যাতিমানদের নিয়ে গড়া হয় বিচারক প্যানেল, যাঁরা ক্রীড়া পুরস্কারের বিজয়ী চূড়ান্ত করেন। ২০১২ সাল থেকে চালু হয়েছে পাঠকের ভোটে বর্ষসেরা পুরস্কার। প্রথম এক দশকে ক্রিকেটার ছাড়া কেউই পাঠকের ভোটে সেরা হতে পারেননি। এ বছর পাঠকেরাই বর্ষসেরা হিসেবে পাঁচজনকে মনোনীত করেছিলেন। এর মধ্যে ক্রিকেটার ছিলেন তিনজন—মুশফিকুর রহিম, শরীফুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন। মোরছালিন ছাড়া অন্যজন ইমরানুর রহমান।
কুপন, এসএমএস ও অনলাইনের সম্মিলিত ভোটে সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন মোরছালিনই। ‘জনতার বর্ষসেরা’ হয়ে তাই মোরছালিন অভিভূত, ‘আমার এখনো শরীর কাঁপছে। এত বড় অনুষ্ঠানে আমি পুরস্কার পাব, সেটা কখনো আশা করিনি।’ মোরছালিন পাঠকের বর্ষসেরা ও বর্ষসেরা উদীয়মান হয়েছেন ২০২৩ সালের জন্য।
২০২২ সালে পাঠকের বর্ষসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। ঈদের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় তাঁকে সেরার রায় দেওয়া পাঠক-দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাকিব।