দুর্দান্ত এক ফ্রি–কিকে জয়বঞ্চিত ইউনাইটেড
রিডিং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে যুব ফুটবল লিগে (প্রিমিয়ার লিগ-২) নজর কেড়েছেন মাইকেল ওলিস। ১৬ বছর বয়সী ছেলেটি যে বিশেষ প্রতিভাধর, তা নিয়ে কারও সন্দেহ ছিল না। তবে এ পাঁচ বছরে সেই ওলিস খুব বেশি এগোতে পারেননি। রিডিংয়ের মূল দলে খেলেছেন দুই বছর, এরপর ২০২১ সালে যোগ দেন ক্রিস্টাল প্যালেসে। প্রতিভাবান ওলিসের ঝলকে কাল রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পুরো ৩ পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে ৫৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের পাস থেকে গোল করেন পর্তুগিজ তারকা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়েও এই গোল শোধ করতে পারেনি ক্রিস্টাল প্যালেস।
ইউনাইটেড যখন সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দশম জয় তুলে নেওয়ার সুবাস পাচ্ছিল, তখনই যোগ করা সময়ে ক্রিস্টালের ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হন ওলিস। ২১ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার খেলা তৈরির পাশাপাশি দুই উইংয়েও খেলতে অভ্যস্ত। বাঁ পা-টাও ছুরির মতো চালাতে জানেন প্রতিপক্ষের বক্সে। ওলিসের সেই বাঁ পা-ই ইউনাইটেডের পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে।
মাঠের ডান প্রান্তে ফ্রি-কিক পেয়েছিল ক্রিস্টাল প্যালেস। মানবদেয়াল তৈরি করে প্রস্তুতি নেন ইউনাইটেড গোলকিপার দাভিদ দে হেয়া। ডান দিকে মানবদেয়াল রেখে বাঁ দিক ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলেন। ওলিস মানবদেয়ালের ওপর দিয়ে ডান পাশের ফাঁকা জায়গাটা ঠিকই খেয়াল করেছেন।
সেদিক দিয়ে বল জালে পাঠাতে হলে বলকে বাঁক খাওয়াতে হতো। ওলিস ঠিক সেটাই করেছেন। বাঁ পায়ের বাঁকানো শটটি ভাসতে ভাসতে আশ্রয় নিয়েছে ইউনাইটেডের জালে। দাভিদ দে হেয়া বিপদ বুঝতে পেরে তাঁর বাঁ দিকে ঝাঁপ দিয়েছেন। কাজ হয়নি। ফ্রি–কিকটা ছিল নিখুঁত।
টানা ৯ ম্যাচ জয়ের পর থামল ইউনাইটেড। তবে ইউনাইটেডের জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ হলো, রোববার প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দল আর্সেনালের বিপক্ষে কাসেমিরোকে পাবে না।
কাল মৌসুমের পঞ্চম হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারবেন না। ১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ১৯ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইউনাইটেড।