মেসির কথা বললেই শিহরিত হন তিনি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে লিওনেল মেসির অবদান কেমন, সেটি গোলসংখ্যা, গোলে সহায়তা আর ম্যাচ পরিস্থিতির ভূমিকাতেই স্পষ্ট।
অনেক বছর ধরেই আর্জেন্টিনা দলের প্রাণভোমরা মেসি। ২০১৪ আসরে প্রায় একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তিন যুগ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেওয়ার পথে মেসিকে সহায়তা করেছেন কয়েকজন তরুণ তুর্কি। তাঁদের একজন এনজো ফার্নান্দেজ।
সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার। অভাবনীয় সে হার। আর্জেন্টিনা ও মেসির জন্য আরও একটি ব্যর্থতার বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে কি না এ নিয়ে যখন আলোচনা, তখনই মেসির আড়ালে থাকা এনজো ফার্নান্দেজ নিজের পারফরম্যান্সের ফুল ফোটান।
মেক্সিকোর বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ফার্নান্দেজ মাঠে নেমেই গোল করেন। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পুরো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ধাপে ধাপে ওপরে তোলার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হয়ে উঠেছিলেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
বিশ্বকাপ ফার্নান্দেজকে দলবদলের বাজারে সবচেয়ে দামি আর্জেন্টাইন ফুটবলারও বানিয়েছে। শীতকালীন দলবদলে বেনফিকা থেকে চেলসিতে রেকর্ড অর্থে নাম লিখিয়েছেন এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। চেলসিতে এখন রীতিমতো পোস্টার বয় তিনি।
গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে স্টামফোর্ড ব্রিজে এক খুদে দর্শক ফার্নান্দেজের জন্য মাঠেও ঢুকে পড়েছিল। নিজে ফুটবলের উল্লেখযোগ্য একজন হয়ে উঠলেও এখনো মেসিতে শিহরিত ফার্নান্দেজ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখনই মেসিকে নিয়ে কথা বলি, নিজের শরীরে এক ধরনের শিহরণ অনুভব করি।’
বিশ্বকাপের সময় মেসির একদিনের কিছু কথা আজীবন মনে রাখবেন এনজো ফার্নান্দেজ, ‘সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর পুরো দলের উদ্দেশে মেসি কিছু কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এখন দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মেসির প্রশংসা করার জন্য কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়। তিনিই সর্বকালের সেরা।’
বিশ্বকাপের সময়ই এনজো ফার্নান্দেজকে নিয়ে নিজের মূল্যায়ন জানিয়েছিলেন মেসি, ‘আমি আসলে এনজোর খেলা দেখে মোটেও অবাক হইনি। ওকে আগে থেকেই চিনি, প্রতিদিনই অনুশীলন করতে দেখি। এখন যে এত প্রশংসা পাচ্ছে, সেটি ওর প্রাপ্য। ও দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়।’