‘কীভাবে এত আজেবাজে কথা লিখতে পারো’—সংবাদমাধ্যমের ওপর গ্রিলিশের ক্ষোভ
পার্টি, পার্টি এবং শুধুই পার্টি!
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ের পর থেকে এমন উন্মাতাল জীবন কাটছে জ্যাক গ্রিলিশের। গত ১০ জুন ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে দলের সঙ্গে ট্রফি নিয়ে গিয়েছিলেন ইবিজা দ্বীপে। সেখান থেকে ম্যানচেস্টারে ফিরে ছাদখোলা বাসে করেছেন উদ্যাপন। এরপর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ইউরো বাছাইয়ে।
জাতীয় দলের হয়ে দায়িত্ব শেষ হতেই যুক্তরাষ্ট্রে লাস ভেগাসে যান ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে স্পেনের ইবিজা দ্বীপে। সর্বশেষ দুবাইয়ে লম্বা ছুটি কাটিয়ে অবশেষে দলে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়।
ট্রেবল জেতার পর বাকিদের চেয়ে একটু বেশিই বোধ হয় রোমাঞ্চিত হয়ে পড়েছিলেন গ্রিলিশ। সতীর্থদের নিয়ে পার্টির পর পার্টি দিয়ে মদ্যপানের যে বিল তুলেছিলেন, সেটা চমকে দেওয়ার মতোই—৬৪ লাখ টাকা! নৈশক্লাবে নারীদের নিয়েও পার্টি করতে দেখা গেছে তাঁকে।
আর এ নিয়েই একটি প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান, যার শিরোনাম—‘ম্যান সিটির নায়ক গ্রিলিশ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর ছুটিতে গিয়ে তিন নারীকে বাহুডোরে জড়িয়ে নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন।’
প্রতিবেদনে দ্য সান যে তিন নারীর নাম উল্লেখ করেছে, তাঁরা হলেন হোলি ওয়েলস, ডলি মিডলটন ও সাশা আটউড। ওয়েলসের সঙ্গে ইবিজায় দেখা গেছে গ্রিলিশকে, বিমানবালা মিডলটনের সঙ্গে পার্টি করেছেন লাস ভেগাসের নৈশক্লাবে আর আটউড তাঁর প্রেমিকা। গ্রিলিশ যখন ইবিজা ও লাস ভেগাসে অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন, আটউড তখন ছিলেন ইতালিতে।
গ্রিলিশের দাবি, সংবাদপত্রে যেভাবে তাঁর নামে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তিনি ততটা উন্মত্ত নন। তাঁকে নিয়ে করা দ্য সানের প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দিয়ে ২৭ বছর বয়সী উইঙ্গার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘তোমরা কীভাবে এত আজেবাজে কথা লিখতে পারো? এক নারী তাঁর বিয়ে–পূর্ব অনুষ্ঠানে আমার কাছে এসেছিলেন ও ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। আমি তাতে রাজি হয়েছি। যদি আমি ছবি না তুলতাম, তখন তোমরাই আমাকে অহংকারী ও অভদ্র বলতে। আর ছবি পেয়ে এমন শিরোনাম দিয়েছ!’
প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতি নিতে এ বছর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। আগামী রোববার ইয়োকোহামা মারিনোসের বিপক্ষে খেলবে পেপ গার্দিওলার দল। দুবাইয়ে একাকী অনুশীলন করতে থাকা গ্রিলিশ শিগগিরই জাপানে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।