বাংলাদেশের লিগে ৫০তম গোলের মাইলফলক ছুঁলেন ব্রাজিলিয়ান রবসন
খেলার তখন প্রায় শেষ। যোগ করা সময়েরও শেষ মুহূর্ত। শেখ জামালের ডি–বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি–কিক পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। সেই ফ্রি–কিক নিতে এলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবসন দা সিলভা। গোলকিপার মাহফুজ হাসান প্রীতমকে নড়ার সুযোগ না দিয়েই রবসনের সেই ফ্রি–কিকের শট জড়িয়ে গেল জালে। গোলটি শুধু কিংসকে ৩–০ গোলের জয়ই এনে দেয়নি, রবসনকেও এনে দিয়েছে দারুণ এক মাইলফলক ছোঁয়ার আনন্দ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজের ৫০তম গোলটি করলেন তিনি।
২০২০–২১ মৌসুমে কিংসের হয়ে খেলতে এসেছিলেন রবসন। প্রথাগত স্ট্রাইকার না হয়েও গোল করা তাঁর অভ্যাস। কিংসের সাফল্যের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন এরই মধ্যে। দ্রুতই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কিংসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে।
বাংলাদেশের ফুটবলে তাঁকে অন্যতম সেরা বিদেশি বলাই যায়। প্রতি ম্যাচেই কিংসের আক্রমণের প্রাণ এই ব্রাজিলিয়ান। দলের খেলাটা তৈরি করেন, একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরিতে রাখেন অগ্রণী ভূমিকা।
প্রথম মৌসুমে ২১ গোল করে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন রবসন। দ্বিতীয় মৌসুমেও (২০২১–২২) করেন ১৬ গোল। গত মৌসুমে লিগে তাঁর গোল ১০টি। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে করেছেন ৩ গোল। প্রিমিয়ার লিগে ৫০টি গোল হয়ে গেলেও অন্যান্য টুর্নামেন্ট মিলিয়ে কিংসের জার্সিতে তাঁর গোলের সংখ্যা আরও বেশি।
রবসনের সঙ্গে গোলের লড়াইটা ভালোই চলছে কিংসে তাঁরই সতীর্থ দরিয়েলতন গোমেজের। গত মৌসুমেই দরিয়েলতন ২০ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। ২০২১–২২ মৌসুমে আবাহনীর জার্সিতে খেলতে আসা দরিয়েলতন চোটের কারণে প্রথম মৌসুমে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে না পারলেও ১৬ ম্যাচে ১৮ গোল করেছিলেন।
এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে দরিয়েলতন করেছেন ৭ গোল। প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী ও কিংসের জার্সিতে দরিয়েলতনের গোল হয়ে গেছে ৪৫। রবসনের কাঁধে নিশ্বাসই ফেলছেন দরিয়েলতন।
৫০ গোল করে দারুণ খুশি রবসন। এই গোলগুলো কিংসকে সাফল্য এনে দিয়েছে এটাই তাঁর তৃপ্তি। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি খুবই খুশি গোল করে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পেরেছি। আমি আমার ৫০ গোলের জন্য কিংসের কোচিং স্টাফদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাঁরা আমাকে ভালো খেলতে সব রকম সহযোগিতা করেছেন।’