শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চে ৭ গোলের ‘থ্রিলার’ জিতল ইউনাইটেড
নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের খেলা চলছিল তখন। ইংলিশ প্রিমিয়র লিগে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে তাদের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে ৩-২ গোলে। ইউনাইটেডের চোখ তখন পূর্ণ তিন পয়েন্টে। কিন্তু এরপরই যোগ করা সময়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটিকে স্তব্ধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায় উলভস।
এই গোল ইউনাইটেড খেলোয়াড়দের যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না। তবে হাল ছেড়ে না দিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত যা ফলও এনে দিয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটা ইউনাইটেড জিতেছে ৪-৩ গোলে।
এ দিন ম্যাচে ৩-৩ সমতা আসার দুই মিনিট পরই ইউনাইটেডকে ভার মুক্ত করেন কোবি মাইনো। প্রায় একক প্রচেষ্টার অসাধারণ এক গোলে ফের লিড এনে দেন ইউনাইটেডকে। এই গোলের পর টেলিভিশন ক্যামেরা খুঁজে নেয় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের হাসি মুখ। হয়তো ‘ফার্গি টাইম’–এ গোল করায় সেই পুরোনো স্মৃতিতে ফিরেও গিয়েছিলেন ফার্গুসন। মাইনোর গোলটিই শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিয়েছে ইউনাইটেডকে।
এই ম্যাচের ৭১ মিনিট পর্যন্ত অবশ্য মনেই হয়নি ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ইউনাইটেড পয়েন্ট হারাতে পারে। প্রতিপক্ষের মাঠে ইউনাইটেডের হয়ে ৫ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড এবং ২২ মিনিটে রাসমুস হয়লুন্দ গোল করেন। তবে এ দিন বেশি চোখ ছিল রাশফোর্ডের ওপর। সাম্প্রতিক সময়ে নেতিবাচক কারণে বেশ আলোচনায় ছিলেন তিনি। ম্যাচের ৭১ মিনিটে এক গোল করে ব্যবধান কমায় উলভস।
এরপর ৭৫ মিনিটে ইউনাইটেডের হয়ে স্কট ম্যাকটমিনে গোল করলে ব্যবধান হয় ৩-১। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে ব্যবধান ৩-২ করেন কিলম্যান। তখনও মনে হচ্ছিল ম্যাচটা ইউনাইটেডের দখলেই আছে। কিন্তু যোগ করা সময়ে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে রূপ নেয় এ ম্যাচ। তবে শেষ পর্যন্ত হাসিটা ইউনাইটেডের মুখেই ফুটেছে।
দুর্দান্ত এ থ্রিলার জিতে পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্বরে থাকল ইউনাইটেড। ২২ ম্যাচে ‘রেড ডেভিল’দের পয়েন্ট ৩৫। আর ১১ নম্বরে থাকা উলভসের পয়েন্ট ২৯।