গোল করে পেলেকে মনে করালেন রিয়ালের রদ্রিগো
পেলের মতোই সান্তোসে বেড়ে উঠেছেন রদ্রিগো গোয়েস। কিংবদন্তির মৃত্যুর পর টুইটে রিয়াল মাদ্রিদের এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার লিখেছিলেন, ‘সান্তোসে লোকের মুখে প্রতিদিন আপনার গল্প শুনে আমরা বড় হয়েছি।’
কাল চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি, রিয়াল মাদ্রিদও নেমেছিল কাসেরেনোর মাঠে। এই ম্যাচে গোল করে পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রদ্রিগো।
কোপা ডেল রে-র এ ম্যাচে স্প্যানিশ ফুটবলে চতুর্থ স্তরের দল কাসেরেনোর বিপক্ষে হেসেখেলে জিততে পারেনি ইউরোপের চ্যাম্পিয়নরা। ৬৯ মিনিটে রদ্রিগোর গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
গত শুক্রবার লা লিগায় রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে মাঠে নামানো একাদশে নয়টি পরিবর্তন আনেন ইতালিয়ান কোচ। যেটিকে রিয়ালের দ্বিতীয় সারির দলই বলা যায়। করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে তেমন ভালো খেলতে পারেনি রিয়াল। বিরতির পর ৬৯ মিনিটে বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে পেলের মতোই জাদু দেখান রদ্রিগো।
এক, দুই, তিন, চার—এভাবে চার ‘টাচে’ সামনে থাকা ডিফেন্ডারকে প্রলুব্ধ করে বোকা বানান। পঞ্চম টাচটি করার সময় কাসেরেনোর আরও এক ডিফেন্ডার তাঁর ডান পাশে চলে আসেন। তাঁকেও বোকা বানিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠান্ডা মাথার শটে গোল করেন রদ্রিগো। এরপর উদ্যাপনে ফিরিয়ে আনেন পেলেকে। তিনবার লাফ দিয়ে প্রতিবারই মুঠোবদ্ধ ডান হাত শূন্যে ছুড়েছেন—পেলের সেই‘ট্রেডমার্ক’ উদ্যাপন। তারপর আকাশে তাকিয়ে কি খুঁজলেন পেলেকে? কে জানে!
১৯৭০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হেডে গোল করার পর মুঠোবদ্ধ ডান হাত শূন্যে ছুড়ে এভাবেই উদ্যাপন করেছিলেন পেলে। সান্তোসের হয়েও বহুবার এভাবে গোল উদ্যাপন করেছেন কিংবদন্তি।
উদ্যাপনে পেলের সঙ্গে মিল সবার বেশি মন পড়লেও গোল করার সময় রদ্রিগোর মুভও কিন্তু পেলের মতোই ছিল। ডান পায়ে বল নিয়ে অনেকবারই এভাবে আক্রমণে উঠতে দেখা গেছে পেলেকে।
ম্যাচের শেষ দিকে কাসেরেনো গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আনচেলত্তির দল রক্ষণাত্মক খেলায়, সেটি আর সম্ভব হয়নি। এই জয়ে কোপা ডেল রে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোয় উঠল রিয়াল।
জয়ের পর কাসেরেনোর মাঠের সমালোচনা করেন রিয়াল কোচ আনচেলত্তি, ‘এখানে ফুটবল খেলা সম্ভব না। মনে হয়নি আমরা ফুটবল খেলতে পেরেছি, অন্য কোনো খেলা মনে হয়েছে। বড় দলের সঙ্গে ছোট দলগুলোর এই লড়াই দেখতে ভালোই লাগে। তবে লোকে কিন্তু ভালো ম্যাচও দেখতে চায়।’