রোনালদো নাজারিওর জাদুতেই এমন গোল রদ্রিগোর
ছবিটা হয়তো এখনো মনে আছে অনেকেরই—কাতার বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিতের পর ম্যাচের জার্সি ও বুট পরেই রোনালদোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বসেন ২১ বছর বয়সী রদ্রিগো।
রোনলদোকে দেওয়া রদ্রিগোর সেই সাক্ষাৎকারের একটা ভিডিও নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছিল ফিফা। সেটিও মনে থাকার কথা। ভিডিওতে একটি দৃশ্য ছিল এ রকম—রোনালদোর পা জোড়া দুই হাত দিয়ে প্রথমে মালিশ করলেন রদ্রিগো। এরপর সেই দুই হাত আবার নিজের দুই পায়ে মালিশ করলেন। যেন রোনালদোর পায়ের কিছু জাদু নিজের পায়ে নিয়ে নিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
সেই ঘটনার কথা আবার বলা একটা কারণেই। গতকাল কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ৩–১ ব্যবধানের জয়ে চোখধাঁধানো এক গোল করেছেন রদ্রিগো। এমন গোল কীভাবে করলেন, এই রহস্য জানাতে গিয়ে রদ্রিগো বলেছেন, রোনালদোর জাদুতেই এমন গোল করতে পেরেছেন তিনি!
গোলটি কেমন ছিল? ম্যাচের বয়স তখন ৭৯ মিনিট হয়ে গেছে। গোলের জন্য হন্যে হয়ে ছুটছিল ১-০–তে পিছিয়ে থাকা রিয়াল। এমন সময় প্রতিপক্ষের অ্যাটাকিং থার্ডে ছোট করে পাস দেন লুকা মদরিচ। বলে প্রথম স্পর্শেই তিনি ছিটকে ফেলেন দুই পাশে থাকা প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে। এরপর এমন অবলীলায় ড্রিবলিং করে এগিয়ে যান, যেন তাঁর আশপাশে কেউই নেই।
বক্সের মধ্যে ঢোকার পর রদ্রিগো দেখতে পান, ছড়িয়ে–ছিটিয়ে সেখানে প্রতিপক্ষের পাঁচ খেলোয়াড়। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসেন দুজন। রদ্রিগো বল নিয়ে চলে যান বক্সের বাঁ দিকে। আতলেতিকোর পাঁচ খেলোয়াড়কে কোনো সুযোগ না দিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে ডান পায়ের বুটের বাইরের পাশ দিয়ে বল পাঠান জালে।
এমন এক গোল করার পর কোচ কার্লো আনচেলত্তির প্রশংসা তো পেয়েছেনই, ম্যাচ শেষে তাঁকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিল গোলটি নিয়ে। তারই জবাবে রদ্রিগো বলেছেন, ‘আমি ঠিক মনে করতে পারছি না, কীভাবে এটা হলো। মদরিচ আমাকে পাসটি দেয়। আমাকে পরে সবাই বলেছে যে বল পেয়ে আমি প্রতিপক্ষের চার খেলোয়াড়কে কাটিয়েছি। এরপর গোলটি করেছি বুটের বাইরের পাশ দিয়ে মেরে।’
রদ্রিগো এরপর যোগ করেন, ‘আমি এই পজিশনে খেলতে পছন্দ করি এবং এটা করতে পেরেছি। আমি অনুশীলনে এমন কিছু করার চেষ্টা করেছি। অবশেষে আমি ম্যাচে করতে পেরেছি। আজ (গতকাল) আমি রোনালদোর জাদু আয়ত্ত করতে পেরেছি। আশা করছি পরের ম্যাচগুলোতেও আমি এটা করে যেতে পারব।’