সৌদির বিদায়ের আগেই মাঠ ছেড়ে যাওয়ায় ক্ষমা চাইলেন মানচিনি
সৌদি আরবের কোচ রবার্তো মানচিনি কাউকে ছোট করতে চাননি। তিনি ভেবেছিলেন, ম্যাচ শেষ হয়েছে। তাই ডাগআউট থেকে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ তখনো শেষ হয়নি। টাইব্রেকারে দক্ষিণ কোরিয়ার হাওয়াং হি–চ্যানের শট বাকি ছিল আর তাতেই হেরেছে সৌদি আরব।
এশিয়ান কাপে বড় স্বপ্ন নিয়ে এসে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিল সৌদি আরব। গতকাল রাতে ম্যাচের প্রায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ১–০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত পারেনি আরব দেশটি। যোগ করা সময়ের ৯ মিনিটে গোল করে দক্ষিণ কোরিয়াকে সমতায় ফেরান চো গুয়ে–সাং।
অতিরিক্ত সময়েও দুই দল ১–১ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে ৪–২ ব্যবধানে জিতে শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। টাইব্রেকারে সৌদির সামি–আল নাজেই ও আবদুলরহমান ঘারিবের শট রুখে দেন কোরিয়ার দ্বিতীয় পছন্দের গোলকিপার জো হেইয়ুন–উ।
টাইব্রেকারে কোরিয়ার হয়ে হাওয়াং হি–চ্যান চতুর্থ শটটি নেওয়ার আগে ডাগআউট থেকে স্টেডিয়ামের টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান সৌদি কোচ মানচিনি। এরপর চ্যানের লক্ষ্যভেদেই বিদায় নিশ্চিত হয় সৌদির।
এমন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মানচিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ক্ষমা চাচ্ছি (আগেভাগে চলে যাওয়ার জন্য)। ভেবেছিলাম, (ম্যাচ) শেষ হয়েছে। কাউকে ছোট করতে চাইনি। আমি সব খেলোয়াড়কে ধন্যবাদ জানাই। তারা অনেক উন্নতি করেছে।’
২০২১ সালে ইতালিকে ইউরো জেতান মানচিনি। কোচ হিসেবে দ্বিতীয় বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সৌদি আরবকে নিয়ে এশিয়ান কাপে এসেছিলেন এই ইতালিয়ান কোচ। বিদায় নেওয়ায় সেটি আর হলো না। তবে একই সুযোগ আছে জার্মানির সাবেক ফরোয়ার্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানের। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হিসেবে কনকাক্যাফ গোল্ড কাপ জিতেছেন ক্লিন্সম্যান।