মেসির নির্মম সমালোচনায় ব্রাজিলের ‘সাদা পেলে’
সৌদি আরবের কাছে হারের ধাক্কা কি কাটিয়ে ওঠা গেছে? আর্জেন্টিনার সমর্থকদের এ প্রশ্ন করলে অনেকে ‘না’ বলতে পারেন। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই এ হার যে কেউ কস্মিনকালেও চিন্তা করেনি। অথচ ২-১ গোলের সেই হারে সেটাই ঘটেছে, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে যা কেউ ভাবেনি।
আর্জেন্টিনা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় দল, আর সৌদি আরব এ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে শেষ থেকে দ্বিতীয় (৫১তম)। এমন দলের কাছে হারের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ও ‘সাদা পেলে’খ্যাত জিকো।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘লান্স’কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আশির দশকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা জিকো। ’৮২ বিশ্বকাপে খেলা ফ্ল্যামেঙ্গো কিংবদন্তির মতে, মেসির মধ্যে নেতৃত্বগুণের অভাব আছে।
প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার বন্ধু জিকো মেসির সমালোচনা করতে গিয়ে কোনো রাখঢাক রাখেননি। সৌদি আরবের বিপক্ষে যখন তাঁর দল হারছিল, মেসি তখন অধিনায়ক হিসেবে খেলোয়াড়দের সেভাবে প্রেরণা দিতে পারেননি বলেই মনে করেন জিকো।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে জাপান, ইরাক ও কাশিমা অ্যান্টলার্সের মতো দলের কোচিং করিয়েছেন জিকো। জে-লিগের দল কাশিমার টেকনিক্যাল পরিচালকের দায়িত্বও সামলেছেন। বাজে পরিস্থিতিতে মেসির ভূমিকা নিয়ে জিকো বলেছেন, ‘সে এমনই।
আর্জেন্টিনা ৪-০ ব্যবধানে জিতুক কিংবা ২-১ গোলে হারুক, সে তার পথ থেকে সরে না। সে কারও সাহায্য চাইবে না, কারও কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে চিৎকারও করবে না। সে এমন একজন অধিনায়ক, যে কারও সঙ্গে কথা বলে না। তার মধ্যে নেতৃত্বগুণের অভাব আছে। সে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে, কারণ তার নামটা মেসি, তাই নয় কি?’
১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে ৭১ ম্যাচে ৪৮ গোল করেছেন জিকো। মেসির নেতৃত্বগুণের সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের একটি উদাহরণও দিয়েছেন জিকো, ‘যখন দলের অধিনায়ক হই, তখন আমার বয়স ৩০ বছর। তখন খেলোয়াড়দের অনেকের ওপরই আমার প্রভাব ছিল। এটা করতে হয়। সবার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়। মেসির মধ্যে তা নেই।’
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত একটায় নিজেদের গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। শেষ ষোলোয় ওঠার দৌড়ে টিকে থাকতে ম্যাচটি জিততেই হবে আর্জেন্টিনাকে।