মেসির কোনো কিছুই এখন আর এনজোকে বিস্মিত করে না
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এনজো ফার্নান্দেজের। জিতেছিলেন বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। তবে সেসব ভুলে এখন আর্জেন্টিনার সঙ্গে নতুন আরেকটি অভিযানে নামবেন এনজো। এবার লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে এবারের আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার দুটি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর ও বলিভিয়া। শুক্রবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলার পর ১৩ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ বলিভিয়া।
এ ম্যাচগুলোতেও আর্জেন্টিনা ঐক্যবদ্ধ হবে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে। এরই মধ্যে ইন্টার মায়ামিতে দারুণ সময় কাটিয়ে মেসি যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। তাঁকে পেয়ে দলও এখন দারুণ উজ্জীবিত। বাছাইয়ের এই ম্যাচ দুটি সামনে রেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন চেলসি মিডফিল্ডার এনজো, যেখানে তিনি কথা বলেছেন মেসিকে নিয়েও।
গত বছরের কাতার বিশ্বকাপে দারুণভাবে জমে উঠেছিল মেসি-এনজো জুটি। এবারও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চোখ থাকবে এ জুটির ওপর। পিএসজি ছেড়ে মায়ামিতে গিয়ে মেসি বেশ সুখেও আছেন। ইন্টার মায়ামিতে মেসির নতুন শুরু নিয়ে জানতে চাইলে এনজো বলেছেন, ‘তার কোনো কিছু এখন আর বিস্মিত করে না। তাকে আনন্দিত দেখাচ্ছে, পরিবারের সঙ্গে দারুণ উপভোগ করছে। তার জন্য খুবই আনন্দিত।’
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের রেশ এখনো কাটেনি। এখনো অনেক ভক্ত-সমর্থক সেই ঘোরেই আছেন। তবে পেশাদার হিসেবে এনজোর চোখ সামনের দিকে, নতুন শুরুর দিকে, ‘একটি নতুন পথের শুরু হলো। কিন্তু প্রতিশ্রুতি একই রকম আছে। আমরা অতীতে অনেক উপভোগ করেছি। আমরা জানি, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ নয়। বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দেখাতে চাই, দারুণ কিছু করার জন্য প্রস্তুত। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, স্কালোনি যাদের বেছে নিয়েছেন, আমরা সবাই এখানে আছি। আমরা সেরা অবস্থায় এখানে এসেছি এবং আমরা বাছাইপর্বে লড়াই করতে যাচ্ছি, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। ইতিহাস ও পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিতে চান না এনজো। তিনি বলেছেন, ‘বাছাইপর্ব সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আর্জেন্টিনাকে প্রতিনিধিত্ব করতে নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করি। সে (স্কালোনি) আমাদের বলছে, এটা নতুন শুরু। যা চলে গেছে, তা চলে গেছে। নিজেদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে এখন দলকে আমাদের আরও বেশি কিছু দিতে হবে। ইকুয়েডর শক্তিশালী দল। শারীরিকভাবে তারা খুবই ভালো দল।’